নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পূর্ণ দৈর্ঘ্যের টেলিছবি নির্মাতাদের মধ্যে একান্তে কাজ করে চলা প্রযোজক-অভিনেতা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি শেষ করলেন তার নতুন টেলিফিল্ম দ্রোহকালের শুটিং। কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের টেলিফিল্ম নির্মাতাদের মধ্যে বর্তমানে একমাত্র সঞ্জয় বাবু’ই একের পর এক পূর্ণ দৈর্ঘ্যের টেলিছবি নির্মাণ করে চলেছেন। বর্তমান সময়ের নানা সমস্যাকে জণগনের সামনে সুনিপূন ভাবে তুলে ধরেন তিনি তাঁর এই সকল টেলিফিল্ম গুলির মধ্য দিয়ে।
দ্রোহকাল এমনিই এক ছবি। আধুনিক সমাজের ভগ্নদশা, উচ্চ আধুনিকতা ও আধুনিকতার নামে সমাজের বুকে বেল্লেলাপনার বিরোধী চরিত্র প্রাণেশ চক্রবর্তী। প্রাণেশ বাবুর সংসার তাঁর একমাত্র ভাগ্নী দীপাকেই কেন্দ্র করে বয়ে চলে। আদন্ত ধার্মিক মানুষ প্রাণেশ চক্রবর্তী কিন্তু চিন্তনে-মননে আধুনিক। কিন্তু তিনি আধুনিকতার নামে বর্তমান সমাজে যা চলে তার পক্ষে নন। তাই তিনিও চান বাবা-মাকে হারিয়ে যে ভাগ্নী তাঁর কাছেই মানুষ হচ্ছে তাঁকেও প্রাণেশ বাবুর মননে বড় করে তুলতে। বাস্তব কিন্তু কথা বলে অন্য। এই ছবিতেও অন্যথা নেই তার। প্রিয় মামার কথা অমান্য করে দীপা আধুনিক সমাজের তথাকথিত আধুনিকতার ফাঁদে জড়িয়ে পড়ে সমাজের বাজে দিকগুলিতে। দীপার এই ব্যবহারে আঘাত প্রাপ্ত হন প্রাণেশ বাবু। এরপরই ছবিতে আসছে মূল মোচড়। সমাজের বদরক্ত গুলি একে এক করে হারিয়ে যেতে থাকলো জীবন থেকে। কিন্তু কিভাবে? তা জানতে চোখ রাখতেই হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে তারা বাংলায়। আগামী ডিসেম্বরেই তারা বাংলা চ্যানেলে মুক্তি পেতে চলেছে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় প্রযোজিত পূর্ণ দৈর্ঘ্যের টেলিফিল্ম “দ্রোহকাল”।
ছবিটিতে প্রাণেশ বাবুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় স্বয়ং। দীপার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহনা চক্রবর্তী। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী স্বান্তনা বসু। অনান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়া চ্যাটার্জী, দেবরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, দেবাশীষ ঘোষ, সুজন সেনগুপ্ত প্রমুখরা। এক ঘণ্টা দশ মিনিটের এই টেলিফিল্মের গল্প ও চিত্রনাট্য শমিক বোস। ক্যামেরায় মেহবুব চৌধুরী, সম্পাদনা অভিজিত্ পোদ্দার। টেলিছবিটির সহ পরিচালক অর্পণ কুমার সরকার, পরিচালনা রাজীব দাস। এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার সন্দীপন মুখার্জী ও সুস্মিতা মুখার্জী। সঞ্জয় বাবু জানালেন তাঁর এই টেলিফিল্মটি নির্মাণে বিশেষ অর্থ সহায়তা করেছেন নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত, সুরঞ্জন পাল, গৌতম হালদার ও বাসুদেব ভট্টাচার্য্য। (ছবি নিজস্ব)