আমরা মরতে চাই না -এ.আই.বি.ও.সি.

DSC0794.jpgনিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রতিনিয়ত বিশাল চাপ, চাপের ওপর চাপ, চাপ থেকে কোনও নিস্তার নেই। একদিকে গ্রাহকদের চাহিদার চাপ, অন্যদিকে পান থেকে চুন খসলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের গালাগালি থেকে রক্তচক্ষু কোনটাই বাদ নেই। এছাড়াও রয়েছে নানা সরকারী প্রকল্প ও দিনে দিনে বেড়ে চলা অনায়াদী ঋণের বোঝা। সব কিছুর মাঝে পড়ে আজ সারা ভারতের ব্যাঙ্ক অফিসাররা তাদের কর্মক্ষেত্রটিকে আর সেভাবে স্বাভাবিক ও নিরাপদ বলে মনেই করতে পারছেন না। যা ফল স্বরূপ মাঝে মাঝেই ভারতের নানা প্রান্ত থেকে ব্যাঙ্কের অফিসারদের আত্মহনন সংবাদের শিরোনামে আসছে। এর প্রতিবাদে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন, পশ্চিমবঙ্গের ডাকে ৩ নভেম্বর কলকাতায় আয়োজন করা হয়েছিল এক অভিনব নীরব মোমবাতি মিছিল। মুখে কালো কাপড় বেঁধে শতাধিক ব্যাঙ্ক অফিসাররা মোমবাতি জ্বালিয়ে রাজপথে এই অমানবিক চাপের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জানালেন। তাদের এই নিরব প্রতিবাদ  মিছিল সম্পর্কে আমাদের জানালেন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক সঞ্জয় দাস। তিনি জানান তাদের স্বাবাভিক জীবনযাত্রা আজ ওষ্ঠাগত। তারা ব্যাঙ্কের লক্ষ পূরণ করতে নিজেদের জীবনের মূল লক্ষ থেকে কয়েক যোজন দূরে পড়ে থাকছেন। বিশেষ করে যে সকল নতুন ছেলে-মেয়ের ব্যাঙ্কে অফিসার পদে কাজে যোগ দিচ্ছেন তারাও আজ সমান ভুক্তভোগী। সঞ্জয় বাবু জানান তাদের নেই কোনও নিদির্ষ্ট ছুটি। অনেক সময় তাদের সারা দিন রাত ও কাজ করতে হয় ব্যাঙ্কের লক্ষ পূরণ করতে, এবং এই কারণে তাদের কাজে কোনও প্রকার ভুল ভ্রান্তি হলে তাদের কপালে জোটে যথেচ্ছ গালি-গালাজ, মারধোর। অপরদিকে তাদের এই অতিরিক্ত কাজের জন্য তারা ওভারটাইম স্বরূপ কিছুই পান না। সঞ্জয় বাবু আরও জানান সারা ভারতে অসংখ্য ব্যাঙ্ক অফিসারের খালি পদ নতুন করে পূরণ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে অল্প সংখক কর্মী নিয়ে ব্যাঙ্ক পরিচালন করতে হচ্ছে। আর এর ফল ভোগ করছে সকল ব্যাঙ্ক কর্মচারী বিশেষ করে অফিসাররা ও সাধারণ গ্রাহকরা। সকল জনগণকে অবগত করতেই এবং দিকে দিকে এই ভাবে ব্যাঙ্ক অফিসারদের আত্মহত্যার বিরুদ্ধেই তারা এদিন সন্ধ্যায় কলকাতার রাজপথে আয়োজন করেছেন এই প্রতিবাদ মিছিল। (ছবি স্বরূপম চক্রবর্তী)

%d bloggers like this: