ব্রিক্‌স দেশগুলির মধ্যে মউতে কেন্দ্রীয় অনুমোদন

bricks.jpgনিজস্ব সংবাদদাতা, ছবি সৌজন্যে গুগুল: ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, এই পাঁচটি দেশের নামের আদ্যক্ষরের সমন্বয়ে নামকরণকৃত উদীয়মান জাতীয় অর্থনীতির একটি সঙ্ঘ ব্রিক্‌স মূলত ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা অর্ন্তভূক্ত হবার পূর্বে এই সঙ্ঘটি “ব্রিক” নামে পরিচিত ছিল। ব্রিক্‌সে অন্তর্ভুক্ত সকল রাষ্ট্র উন্নয়নশীল অথবা সদ্য শিল্পোন্নত, কিন্তু তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলীর উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব। বুধবার ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সামাজিক ও শ্রমক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রটিতে কর্মপরবর্তী অনুমোদন মিলেছে। গত ৩ আগস্ট ব্রিক্‌স দেশগুলির শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সমঝোতাপত্র অনুযায়ী, ভারত সহ অন্যান্য ব্রিক্‌সভুক্ত দেশগুলি শ্রম আইন ও এই সংক্রান্ত আইন বলবৎ, শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা, কর্মসংস্থান ও শ্রম বাজার নীতি পেশাদারী শিক্ষা, দক্ষতা, প্রশিক্ষণ তথা সামাজিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ও কর্মসূচি আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা ও শ্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সদস্য দেশগুলি ব্রিক্‌স নেটওয়ার্ক অফ লেবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ব্রিক্‌স সামাজিক সুরক্ষা সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্কের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। উল্লেখ্য, এই সমঝোতাপত্রটি কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তি নয়। এমনকি, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত রাষ্ট্র বা সংগঠনগুলির জন্যও কোন আইনি অধিকার ও বাধ্যবাধকতাও তৈরি করতে পারবে না এই সংগঠন। সার্বিক বিকাশ এবং নতুন শিল্প বিপ্লবের যুগে সমৃদ্ধির এক অভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে ব্রিক্‌স সদস্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা, সমন্বয় ও সর্বাধিক সাযুজ্য বজায় রেখে ব্রিক্‌স দেশগুলির মধ্যে জ্ঞান আদান-প্রদানের পাশাপাশি শ্রম ও কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা ও সামাজিক আলাপ-আলোচনার মতো বিষয়ে যৌথ কর্মসূচি রূপায়ণেও সমঝোতাপত্রটি সাহায্য করবে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের (আইএলও) আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে ব্রিক্‌স নেটওয়ার্ক অফ লেবার ইনস্টিটিউটের যোগসূত্র গড়ে তোলার বিষয়টিও এই সমঝোতাপত্রের মাধ্যমে সুনিশ্চিত হবে। এর ফলে, যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান ও কর্মসংস্থানের নতুন নতুন পন্থা খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। (সংবাদ সূত্র: পি.আই.বি.)

%d