রাঘব বোয়াল ঋণখেলাপীদের আড়াল করছে কেন্দ্র

ffffhgftgd.jpgনিজস্ব সংবাদদাতা: ভারত সরকারের গৃহীত ব্যাংক সংযুক্তিকরণ নীতির সমালোচনা করে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন ৪ অক্টোবর কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিজয়া ব্যাঙ্ক, দেনা ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অফ বরোদার সংযুক্তিকরণ নীতির খারাপ দিকগুলি তুলে ধরেন। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশণের সম্পাদক সঞ্জয় দাস জানান কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাংক সংযুক্তিকরণ পারতপক্ষে সাধারণ মানুষের পক্ষে বিশেষ অন্তরায়। এছাড়াও তিনি বলেন এই সংযুক্তিকরণের ফলে ভারতের অর্থনীতিও দুর্বল হয়ে পড়বে। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ব্যাঙ্কগুলি। তিনি বলেন যে সরকারী ব্যাঙ্ক গুলি ক্ষতিতে চলছে সেই সকল ব্যাঙ্ক কে লাভে চলা ব্যাঙ্কের সঙ্গে একত্রীকরন করলে সবথেকে সমস্যায় পড়বে ব্যাঙ্কগুলি তাদের অনাদায়ী ঋণ সংগ্রহে। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন আজ যেখানে ভারতবর্ষের কোণে কোণে আরও বেশি করে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের শাখা আরও বাড়ানো উচিত সেখানে এই সংযুক্তিকরণ এর ফলে ব্যাঙ্কের শাখাও কমতে থাকবে। বাড়বে বেকারী। এর ফলে সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কমুখী হবে না। এবং যার আঘাত সরাসরি এসে পড়বে ব্যবস্থায়। তিনি দাবি করেন এই সংযুক্তিকরণ করে কেন্দ্রীয় সরকার প্রকৃতপক্ষে সারা ভারতবর্ষের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরনের পথে হাঁটছেন। সঞ্জয় বাবু দাবি করেন কেন্দ্রীয় সরকার এই সকল সরকারী ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের দ্বারা রাঘব বোয়াল ঋণখেলাপীদের আড়াল করতে চাইছেন। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশণের সভাপতি শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন সরকার এই সংযুক্তিকরণ করতে গিয়ে সারা ভারতের জনগণের সামনে দ্বি-চারিতা করছেন, তিনি আরও বলেন সারা বিশ্বে এই ভাবে ব্যাঙ্কগুলিকে সংযুক্তিকরণ সফল হয় নি আর এর ফলে এই বছরেই ভারতে লেম্যান ব্রাদার্স এর ঘটনা ঘটে চলেছে।

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন এর পক্ষে এদিন জানানো হয় আগামী ১১ অক্টোবর সারা ভারতবর্ষে বড় বড় শহরগুলি সহ কলকাতাতেও বিজয়া ব্যাঙ্ক, দেনা ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অফ বরোদার সংযুক্তিকরনের বিরুদ্ধে সারাদিন ব্যাপী ধর্ণা, সাধারণ মানুষেকে নিয়ে আলোচনা, সাক্ষর সংগ্রহ ইত্যাদির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের এই জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে। এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশণের পক্ষে সম্পাদকসঞ্জয় দাস, সভাপতি শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় সহ প্রবীর সরখেল, মলয় চৌধুরী,ও অরুণ রায়।

%d bloggers like this: