বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মনসা মঙ্গল কাব্যের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলার শিল্প, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সাহিত্যের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে মনসা মঙ্গল কাব্য। বেহুলা ও লখিন্দরের প্রেম গাঁথা আজও লোকমুখে ঘোরে। নেতিধোপানির ঘাট আজও সাক্ষ্য বহন করে চলেছে মনসামঙ্গল কাব্যের।
আধুনিক কালেও সমান তালে বিরাজ করছেন মনসামঙ্গল কাব্যের চাঁদ সওদাগর, বেহুলা আর লক্ষিন্দর এর মত চরিত্ররা। বেহুলারা আজও সমান ভাবে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে চলে তার লক্ষিন্দরকে।
এমনই এক গ্রাম্য বেহুলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে আধুনিক কালের মনসা মঙ্গল আমি বেহুলা। অখ্যাত এক গ্রামের মেয়ে বেহুলা, আর নদীর তীরে বেড়ে ওঠা এক গাছ, দুয়ের সঙ্গে এবং মনসামঙ্গলের বেহুলা, ভালোবাসা না হিংসা। একমঞ্চে একসাথে আধুনিক ও প্রাচীন মনসার সঙ্গে এই দ্বৈরথে জিতবে কে।
আগামী ২০ অগাস্ট ২০১৮ সন্ধ্যায় সেকহ্যান্ড প্রোডাকশন এর চতুর্থ নিবেদনে উত্তর কলকাতার গিরিশ মঞ্চে নৃত্য, গীত ও অভিনয়ের কোলাজ আমি বেহুলার সাক্ষী হতেই হবে।নাট্য পরিচালনায় প্রসেনজিৎ বর্ধন, নৃত্য পরিকল্পনায় কুশ কুশারি, সমগ্র ভাবনা, নাট্যরূপ ও সংগীত পরিচলনায় অনিন্দিতা গাঙ্গুলী।
এদিনের সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন পন্ডিত মোল্লার ঘোষ, মল্লিকা ঘোষ, মোম গাঙ্গুলি, সাহানা বক্সী , রুমকি গাঙ্গুলি, সায়ন্তনী ঘোষ সহ বাংলার সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।ওইদিন সন্ধ্যায় কড়ি ও কমল সন্মান ২০১৮ তুলে দেওয়া হবে বিশিষ্টদের হাতে বলেও জানান আয়োজক সংস্থা।