আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব। এই উত্সবকে কেন্দ্র করে আমাদের উত্সাহে কোনও ভাঁটা কখনোই পড়তে পারে না। সারা বিশ্বে আমাদের অন্যতম পরিচয় আমরা ভ্রমণ পিপাসু। আমাদের ভ্রমণ পিপাসাকে আরও বাড়িয়ে দিতে সারা ভারতের সরকারী ও বেসরকারি পর্যটন সংস্থাগুলি আমাদের দোরগোড়ায় অনবরত কড়া নেড়ে চলেছে। আর আমাদের এই ভ্রমণ পিপাসাকে আরও বাড়িয়ে দিতে গত ১ জুন থেকে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বসেছিল টুরিজম ফেয়ার ২০১৮ সংস্করণ। ১ জুন বৃষ্টিস্নাত সকালে যমজ ভাইদের সমবেত মাতৃবন্দনা ও সমবেত ঢাকের বাজনার সঙ্গে শুরু হওয়া এই মেলার শুভ সূচনায় হাজির ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত্ মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য, শিশু অভিনেত্রী সারা সেনগুপ্ত, ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের রিজিওন্যাল ডাইরেক্টর (পূর্ব) জে.পি.সাউ ও মেলার আয়োজক সংস্থা ব্লু আই ইন্ডিয়ার ডাইরেক্টর সুব্রত ভৌমিক। মাসাইমারা থেকে আসা মিঃ থমাস আফ্রিক্যান রীতিতে বরণ করে নেন সমবেত অতিথিদের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মনগ্রাহী হয়ে উঠেছিল সুন্দর একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। প্রায় শতাধিক বেসরকারি পর্যটন সংস্থা ও গুজরাত, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় ও দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল এবং ভারত সরকারের পর্যটন দপ্তরের স্টল সহ মোট ৭টি সরকারী পর্যটন সংস্থার অংশগ্রহণে এবারের মেলা ছিল জমজমাট। মেলার মুখ্য আকর্ষণ ছিল আফ্রিকা। সুদূর কেনিয়া থেকে এসে বাঙালি পর্যটকদের মাসাইমারা বেড়ানোর স্বপ্নকে জাগিয়ে দিয়ে গেলেন ওখানকার প্রতিনিধিরা। ৩ দিনের টুরিজম ফেয়ার ২০১৮ সংস্করণ শেষ হয় ৩ জুন। আসন্ন দুর্গাপুজোয় বেড়ানোর শতাধিক জানা-অজানা ভ্রমণ সার্কিটের সুলুক-সন্ধান দেওয়াই ছিল এবারের এই টুরিজম ফেয়ারের মূল উদ্দেশ্য এবং তাতে আয়োজক সংস্থা থেকে শুরু করে অংশ নেওয়া সকল প্রতিনিধিরা অনেকটাই সফল এ কথা মেলায় ৩ দিন ঘুরে লক্ষ্য করা গেল।
আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়া মেলার কিছু চিত্র