রোপওয়ে-হুগলি জেলার পর্যটন মানচিত্রে নতুন মুকুট

খুব তাড়াতাড়িই রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এক বিশেষ জায়গা করে নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ঐতিহাসিক জনপদ হুগলি জেলা। এই জেলাতেই অবস্থান করছে প্রাচীনতম গীর্জা ব্যান্ডেল চার্চ যার পোষাকি নাম দ্য ব্যাসিলিকা অফ দ্য হোলি-রোসারি, ব্যান্ডেল। এর সঙ্গে এই চার্চ থেকে দেড় কিমি দূরে অবস্থান করছে দানবীর হাজী মহম্মদ মহসিন এর স্মৃতি বিজড়িত হুগলি ইমামবাড়া। সম্প্রতি হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলার পর্যটনের বিকাশে এই দুটি দ্রষ্টব্যস্থান আর আকর্ষনীয় করে তুলতে।

হুগলির ঐতিহাসিক ইমামবাড়া থেকে ব্যান্ডেল চার্চের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে তৈরি হতে চলেছে রোপওয়ে। মাটি থেকে 52 ফুট উঁচু দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোপওয়ে তৈরি করতে কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থা। পুরসভা সূত্রে খবর, বর্ষার পরই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে, এবং ইমামবাড়া থেকে ব্যান্ডেল চার্চ পর্যন্ত গঙ্গার ধার দিয়ে ওই রোপওয়ে তৈরি করতে আনুমানিক ব্যয় ধার্য করা হয়েছে ৯৮ কোটি টাকা এবং পুরোটাই ব্যয় করবে ওই সংস্থা। রোপওয়ে তৈরি করে তা চালুর পর য়ে রাজস্ব আদায় হবে তারই একটা অংশ নেবে রোপওয়ে প্রস্তুতকারী সংস্থা ও বাকিটা আসবে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা ফান্ডে। রোপওয়ে তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষা সহ অন্যান্য নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলেছে বলেও পুরসভা সুত্রে জানা যায়। তবে বর্ষা কাটলেই শুরু হবে রোপওয়ে তৈরির কাজ। আশা করাই যায় এই রজ্জুপথ তৈরি হয়ে গেলে হুগলী জেলার পর্যটনের গুরুত্বও আরও বাড়বে এবং পর্যটকদের আসা আরও বাড়বে, যা আগামীর জন্য খুবই ভাল, বিশেষ করতে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনের বিকাশে।

%d