সকল ধর্মের উর্দ্ধে উঠে সমাজের সকলের জন্য কাজ করে চলেছেন মাবুদ আলী
সংবাদ প্রতিখন
Advertisements
স্বরূপম চক্রবর্তী: ওরা কাজ করে, নগরে প্রান্তরে…. আসলে যাঁরা কাজ করে তাঁর কিন্তু প্রচারের আলো থেকে শত যোজন দূরে থেকেই জনগণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে রাখে সদা। এমন মানুষদের আজ আমাদের সমাজে বড়ই প্রয়োজন, তা শুধুমাত্র সমাজের উন্নতিতে নয়, সমাজের প্রান্তিক মানুষগুলির পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে যে কাজ এই সকল মানুষগুলি নীরবে করে চলেছেন তাঁদের আমরা নতমস্তকে প্রণাম জানাই। আমাদের সমাজে এমন বেশ কিছনু মানুষ আছেন বলেই আমাদের সমাজটা আজও বোধহয় কিছুটা হলেও সরলপথে চলতে পড়ছে। এই সকল মানুষগুলি নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে সদা নিয়োজিত সকল জনগণের সেবায়। অনেকে বলবেন এঁরা এই কাজ করেন কিছুটা হলেও নিজেদের অমিত্ব জাহির করতে, আবার কেউ কেউ বলবেন-সমাজের এই সকল মানুষগুলি সমাজসেবয় ব্রতী হয়েছেন কিছু পাবার আশায়, নাম কামানোর ধান্দায়। আসলে আমরা যাঁরা আমাদের সমাজের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধ নই, তাঁরই এই ধরনের সমালোচনা করতে অভ্যস্ত। যে কারণে এত কথার অবতারণা, সেটি হল বা যাঁর জন্য এই লেখা তিনি এমন একজন মানুষ, যাঁর জীবন নিয়োজিত সমাজের উন্নতিতে, সমাজকে দূষণমুক্ত করে গড়ে তুলে আমাদের আগামীর কাছে এক সুন্দর, দূষণমুক্ত, রোগমুক্ত সমাজ উপহার দিতে যিনি বদ্ধ পরিকর, তিনি একজন অতি সাধারণ মানুষ, হুগলি জেলার ডানকুনি সন্নিহিত চাকুন্দি এলাকায় তাঁর বাস। আমরা কথা বলছি মাবুদ আলী শেখকে নিয়ে। যাঁর ধ্যান-জ্ঞান জনগণের সেবা, সমাজের দূষণ রোধ। এহেন মাবুদ আলী তাঁদের স্বপ্নের সংস্থা ‘সেভ ট্রি সেভ ওয়ার্ল্ড’ নিয়ে আমাদের পরিবেশকে সবুজ করে তুলতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। এর সঙ্গে সঙ্গে মাবুদ আলী ও তাঁদের সংস্থা ‘সেভ ট্রি সেভ ওয়ার্ল্ড’ হুগলি জেলায় শুরু করেছেন সেই সকল গরীব ও প্রান্তিক মানুষদের জন্য যাঁরা করোনায় আক্রান্ত ও যাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন, তাঁদের সেবায় তাঁদের বাড়িতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছেন অক্সিজেনের সিলিন্ডার, যা এককথায় অভিনব। সম্প্রতি মাবুদ আলী শেখ সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা করে জানিয়েছেন হুগলি ও পূর্ব-বর্ধমান জেলায় করোনায় কেউ মারা গেলে তাঁদের মৃতদেহ সত্কারে তাঁরা তৈরি আছেন। প্রসঙ্গতঃ যে বিষয়টি আলোচ্য সেটি এই কাজে মাবুদ আলীরা কোনও রকম জাত-ধর্ম বিবেচনা না করেই সকল ধর্মের মানুষদের পাশে থাকার যে বার্তা দিয়েছেন তা প্রশংসার। আসলে আমরা মান ও হুশের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা সভ্য সমাজের তথাকথিত স্ব-শিক্ষিতের দলেরা কি কোনদিন ভেবেছি, আমাদের সমাজে সকল জাত-পাত, কুসংস্কার ও ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে শুধুমাত্র মানুষের জন্য ‘সকলের তরে সকলে আমরা…’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে সমাজের সকলের জন্য সামান্য কিছু করতে? না আমরা ভাবতেও পারি না, নিজেদের দু-কামরার পি.এন.পি.সি’র জীবন থেকে বেরিয়ে আমরা মাবুদ আলী’র মতল মানুষগুলোর মতো করে আমাদের সমাজের কাজে লাগতে পারব নিজেদের? সুখের বিষয় এখনও আমাদের সমাজে মাবুদ আলীদের মত মানুষেরা রয়েছেন বলে এখনও সুন্দর আমাদের ধরা।