যখন সারা বিশ্ব আজ করোনা নামক অতিমারির কবলে পড়ে থরহরি কম্পমান, তখন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এই রাজ্যের একজন হোমিওপ্যাথ চিকিত্সক। তিনি দাবী করছেন তার ওষুধের প্রভাবে করোনা আমাদের শরীরে আক্রমণ করতে পারবে না। এহেন হোমিও চিকিত্সক ডঃ অরুণ শংকর চ্যাটার্জীর মুখোমুখি আমাদের প্রতিনিধি সিদ্ধান্ত পাল।
সংবাদ প্রতিখন: ডাক্তারবাবু আপনি যে দাবি করছেন আপনার ব্যবহার করা ওষুধে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে সেই বিষয়ে কী বলবেন ?
ডঃ অরুণ শংকর চ্যাটার্জী: মূলত আমি এই করোনা প্রতিরোধে দুটি ওষুধ ব্যবহার করছি, এই দুটি ওষুধ প্রয়োগে করোনাকে নিরাময় করা সম্ভব হচ্ছে তার অনেকগুলি প্রমাণ আমি পেয়েছি। এই বিষয়ে একটি ঘটনার কথা আপনাদের জানাই, আমার এক রোগী থাকেন অসমের শিলচরে, ওনার করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় উনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি ওনাকে সুরিনাম ১ এম ও টিউবারকুলিনাম ১ এম নামক দুটি ওষুধ ব্যবহার করতে বলি, এবং উনি নিয়মমাফিক তা ব্যবহার করে আজ রীতিমত সুস্থ, এইভাবে আমার কয়েকজন রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগে আজ তাঁরা করোনা থেকে মুক্ত বা করোনা তাঁদের স্পর্শ করতে পারে নি।
সংবাদ প্রতিখন: আপনার প্রেসক্রাইব করা দুটি ওষুধ মানব শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কতটা সক্ষম বলে আপনি মনে করছেন?
ডঃ অরুণ শংকর চ্যাটার্জী: আপনাদের আগেই বলেছি, আবারও বলছি আমার এই দুটি ওষুধের প্রয়োগের ফলে মানব শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে শুধু নয় করোনাকে ঠেকানো যায় এই দুটি ওষুধে। হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস থেকে সম্পুর্ন সুস্থ হওয়া সম্ভব। যাঁরা যাঁরা এই ওষুধ দুটি খেয়েছেন তাঁদের কারও করোনা হয় নি।
সংবাদ প্রতিখন: আজ সারাবিশ্বে করোনা রোগের প্রতিষেধক আবিস্কারের নানা প্রচেষ্টা চলছে, এর মধ্যে আপনি বলছেন হোমিওপ্যাথিতে এই রোগেকে রোধ করা সম্ভব, কী ভাবে এই কথা আপনি বলছেন?
ডঃ অরুণ শংকর চ্যাটার্জী: দেখুন, এই রোগের মূল উপসর্গগুলির মধ্যে প্রধান উপসর্গ হল শ্বাসকষ্ট, বাতাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন থাকা স্বত্তেও কিন্তু করোনা আক্রান্ত রোগীরা মূলত শ্বাসকষ্টের কারণে মারা যাচ্ছে। হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের যে ওষুধ বলা আছে তা প্রধানত রোগীর শরীরে শ্বাসকষ্টের উপশম ঘটিয়ে রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আর একটি বিষয় চিরকাল চলে আসছে হোমিওপ্যাথিকে কিছুতেই মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না সারা বিশ্বজুড়ে এর পিছনের কারণ গুলি না হয় উহ্যই থাক। তবে একটি বিষয় হোমিওপ্যাথি প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিত্সা করে এটা জানবেন। একটা বিষয় জানবেন কোনও রোগের ভ্যাকসিনের প্রয়োগে কিন্তু আরও অন্য রোগের বৃদ্ধি ঘটে, নানা রকম রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে, আসলে ভ্যাকসিন একটা রোগকে দূর করে আর অপরদিকে অন্য রোগকে ডেকে আনে। ভ্যাকসিন কিন্তু আনকন্ডিশন্যাল। আর হোমিওপ্যাথি রোগের মূল কারণটা নিয়ে চিকিত্সা করে, আর এর প্রয়োগে যে এই রোগ রোখা যাচ্ছে তা তো ইতিমধ্যেই প্রমানিত হয়েছে, আসলে আজ আমার সেই পরিমাণ টাকা নেই যে এই বিষয়টিকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসবো, আর দেশের বড় বড় মিডিয়াও আমার মত প্রকাশ করতে সাহায্য করবে না, তাঁর কারণ আর নাই বা বললাম।