Site icon Sambad Pratikhan

রাজ্যস্তরে বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল তৃণমূল কংগ্রেসে

Advertisements

ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়: আগামী ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সারা ভারত তৃণমূল কংগ্রেসে বড়সড় রদবদল ঘটালেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আজ এক সাংগঠনিক বৈঠকে তৃণমূল সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কারণে বেশ কিছু পরিবর্তণ ঘটন তৃণমূল প্রধান। এই পরিবর্তনে বড় চমক জঙ্গলমহলের ছত্রধর মাহাতো, তাঁকে সরাসরি স্থান দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে। জঙ্গলমহলে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি ও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই কারণে জঙ্গলমহলের নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করে, এবং মূলত ছত্রধর মাহাতোকে রাজনীতির মুলস্রোতে নিয়ে আসা কিছুটা সেই কারণেই। জঙ্গলমহলের নেতৃত্বে পরিবর্তনের সঙ্গে জঙ্গলমহলের তিন জেলায় বিশেষ নজর যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল তাঁর প্রমাণ পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলার সাংগঠনিক পদে পরিবর্তণ।পুরুলিয়ার জেলা সভাপতির পদ থেকে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হয়েছে মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর স্বামী গুরুপদ টুডুকে। ঝাড়গ্রামে বীরবাহা সোরেনের জায়গায় নিয়ে জায়গায় জেলা সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে দুলাল মুর্মুকে। অপরদিকে বাঁকুড়া জেলার নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শ্যামল সাঁতরা। অপরদিকে আজ তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে নতুন সদস্য হিসাবে স্থান পেয়েছেন  রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, চূড়ামণি মাহাতো, সুকুমার হাঁসদা, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, ওমপ্রকাশ মিশ্ররা। শুধুমাত্র জঙ্গলমহলেই নয় রদবদল করা হয়েছে গত লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ও সমতলের বেশ কিছু জেলার সাংগঠনিক পদেও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গৌতম দাসকে। তেমনি পরিবর্তণ ঘটানো হয়েছে কোচবিহার, দার্জিলিং জেলাতেও। পরিবর্তণ প্রায় সব জেলাতেই, হাওড়া সদরে অরূপ রায়ের জায়গায় সভাপতি করা হয়েছে লক্ষ্মী রতন শুল্কাকে। তবে যে বিষয়টি সবথেকে উল্লেখযোগ্য সেটি হল এতদিন অবধি থাকা জেলা পর্যবেক্ষকের পদ অবলুপ্ত করে তৈরি করা হয়েছে ২১ জনের এক সমন্বয় কমিটি ও ৭ জনের কোর কমিটি। দলের মধ্যে সকল রকম কোন্দল মেটাতে ও নবীনদের সঙ্গে প্রবীণদের মিশ্রণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে ঢেলে সাজালেন তৃণমূল দলকে আগামীর ২০২১ এর রাজ্য জয়ের লক্ষে।

Exit mobile version