মেছো ভেঁড়িতে যুবক খুন, আরও এক যুবককে খুনের চেষ্টা, একই রাতে পৃথক দুই ঘটনায় চাঞ্চল্য বসিরহাটে

basir-mechoberi-3সৌমাভ মণ্ডল, বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগণা:  কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন যুবককে, আরো এক যুবককে খুনের চেষ্টা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার অনন্তপুর ও ফুলবাড়ী দাস পাড়ার ঘটনা। মঙ্গলবার ভোররাতে অনন্তপুর পশ্চিম পাড়ায় মেছো ভেঁড়িতে বছর ১৯ এর যুবক বাকিবিল্লা মন্ডল আলা ঘরে ঘুমাচ্ছিল। কয়েকজন দুষ্কৃতী গিয়ে তার গলার নলি কেটে দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে বাকি বিল্লার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার ঠিক ২ ঘণ্টা আগে বসিরহাট পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাড়ী দাস পাড়ায় বছর পঁয়ত্রিশের আব্দুর রশিদ মোল্লা বাড়ির পিছনে ফাঁকা মাঠে মোবাইল নিয়ে প্রতিবেশী কয়েক জন যুবকের সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন ছিল। হঠাৎই এক দুষ্কৃতী এসে তাকে কোপাতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় রশিদ মাঠের মধ্যে পড়ে যায়, চিৎকার চেঁচামেচিতে দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। রশিদকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছে। দু’ঘন্টার ব্যবধানে দুটি ঘটনা ঘটলো। এক যুবক খুন আর এক যুবককে খুনের চেষ্টা ধন্দে পরেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। দুটো ঘটনার যোগসূত্র কি এক না ভিন্ন? খুনের মোটিভ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মৃত যুবকের বাড়ি হাসনাবাদ থানা এলাকায়। অনন্তপুরের মেছো ভেড়িতে কাজ করত। মৃত যুবকের পরিবারের দাবি পুলিশ সঠিক তদন্ত করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক। ফুলবাড়ীর দাশ পাড়ার আব্দুর রশিদ মোল্লাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা অপরাধে এলাকারই হজরত গাজী নামে দুষ্কৃতীর নাম উঠে এসেছে। সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে আক্রান্ত যুবকের ভাই জলিল মোল্লার দাবি। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আক্রান্ত যুবক রশিদ এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে, এমনটাই দাবি আক্রান্ত যুবকের পরিবারের। কিন্তু এটাও প্রশ্ন উঠছে এতো গভীর রাতে ফাঁকা মাঠে আক্রান্ত যুবক মোবাইলে কেন আলাপচারিতায় মগ্ন ছিল? তাহলে কি পুরনো কোনো শত্রুতার জেরে খুনের চেষ্টা না অন্য কোন ঘটনা লুকিয়ে রয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। একই রাতে বসিরহাটের পৃথক দুই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত যুবক বাকি বিল্লার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

error: Content is protected !!

Discover more from Sambad Pratikhan

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading