অমিত চক্রবর্তী: নেশা থেকে পেশায় আসার কথা আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু কতোজন মানুষ সেই নেশাকে সঠিক ভাবে পরিচালিত করে পেশায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন? তাও আবার আজকালকার ইঁদুর দৌড়ের ব্যস্ততম দুনিয়ায়! তার মধ্যেই এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা শত প্রতিবন্ধকতাকে হেলায় সরিয়ে দিয়ে কণ্টকাকিরণ পথ অবলীলায় অতিক্রম করে পৌঁছে যান নিজের লক্ষ্যে। আসলে আজকের এই দুনিয়ায় চাঁদ বা সূর্যের মত আপন আলোয় চারিদিক আলোকিত করে নিজেকে মেলে ধরার মধ্যে প্রয়োজন ধীর-স্থির সঠিক পদক্ষেপে, নির্ভুল ভাবে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা। পরিণত জীবনের প্রথম প্রান্তেই নিজের আগামীর চলার পথকে মসৃণ করে তুলতে তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর। নিজের অদম্য জেদ ও ধীশক্তির ফলে আজ তিনি তাঁর স্বপ্নের জগতে সাবলীল বিচরণ করছেন। তিনি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।
অভিনয় যাঁর রক্তে, সেলুলয়েডের বিভিন্ন চরিত্রগুলি তাঁর নিপুণ অভিনয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে সদাই। অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযোজনাতেও তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন, তার প্রমাণ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে তাঁর তৈরি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের টেলিছবিগুলি। আসলে এই মূহুর্তে এই রাজ্যে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ই একমাত্র মানুষ যিনি অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষদের জন্য সমাজের নানান বিষয়ের ওপর তাঁর প্রযোজনায় বানিয়ে চলেছেন পূর্ণ দৈর্ঘ্যের টেলিছবি। যেগুলির মধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় বিপুল সাড়া ফেলেছে।
তাঁর ঝুলিতে ইতিমধ্যেই এসেছে সকলের অন্তরের ভালোবাসা ও নানা পুরস্কার। এর সঙ্গে সঙ্গে বড় পর্দায় অভিনয়ের সঙ্গে তিনি ছোটপর্দার বেশ কয়েকটি সিরিয়ালেও বেশ সুনামের সঙ্গে অভিনয় করেছেন এবং এখনও করে চলেছেন। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার বিবেকানন্দ যুব মেলার পক্ষ থেকে মেলার প্রধান রাম পাল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে সম্মাননা প্রদান করেন তাঁর অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ।
সঞ্জয় তাঁর অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকতা ও করে চলেছেন বহু বছর। বর্তমানেও সমান ভাবে দুটি দিকে অভিনয় ও সাংবাদিকতা সুচারুভাবে করে চলেছেন আদন্ত পশুপ্রেমী এই সাংবাদিক-অভিনেতা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।