Site icon Sambad Pratikhan

শ্রীরামপুরে বিদ্যাসাগর উত্‍সব

Advertisements

অমিত চক্রবর্তী, হুগলি:  বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করে তাঁর ভাবধারা দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর যে মানুষটি নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন সম্পুর্ন নিজের চেষ্টায়, তিনি এই রাজ্যের অন্যতম জেলা হুগলি’র শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বংশের উত্তরপুরুষ। এই বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃত্‍, নারী শিক্ষা প্রসারে যাঁর অবদান ছিল অপরিসীম, সেই মহান মানুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকেই কিন্তু আজকের বাঙালি ভুলতে বসেছে। না হলে আমার তাঁর রচনা সম্বন্ধেও সম্যক ওয়াকিবহল নই বর্তমান সময়ে, এবং আমরা নিজেরাও বিন্দুমাত্র বিদ্যাসাগরকে নিয়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে সচেষ্ট নই। এই সময়ে আমাদের জীবনে বড়ই প্রয়োজন বিদ্যাসাগরের মতো একজন মানুষের জীবন সম্পকে সম্যক জ্ঞান আহরণ, আর এই কাজটাকেই নীরবে করে চলেছেন সম্পূর্ণই নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। না, কোনও রকম গালভরা সংগঠনের ছাতার তলায় এসে নয়, সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলেছেন পরিবেশবিদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ব্রত আত্মসুখে নিমজ্জিত এই সমাজকে কিছুটা হলেও নাড়িয়ে দেওয়া এবং বিদ্যাসাগরের কথা, তাঁর ভাবনা বর্তমানের কাছে তুলে ধরা।

আর ঠিক এই উদ্দেশ্যেই অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পুর্ন নিজের চেষ্টায় সম্প্রতি হুগলী জেলার শ্রীরামপুর শহরের রাজা কিশোরীলাল ভবনে (শ্রীরামপুর টাউন হল) আয়োজন করেছিলেন বিদ্যাসাগর উত্‍সব। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যসাগরের জন্মের ২০০ বছরের প্রাক্কালে ওই সন্ধ্যা মুখরিত হয়ে উঠেছিল অমিতাভবাবুর আমন্ত্রণে উপস্থিত হওয়া সকল অভ্যাগতদের উপস্থিতিতে। এই সন্ধ্যায় স্থানীয় ও বহিরাগত বিশিষ্টজনদের তিনি বিদ্যাসাগর সম্মানে ভূষিত করলেন এই মঞ্চ থেকে। ছন্দে-সুরে-কথায় উপস্থিত সকলের মন জয় করে নিয়েছিল এদিনের সন্ধ্যার অনুষ্ঠান। স্বয়ং অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুচারু সঞ্চালনা ও ওনার জীবন সঙ্গিনী বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য সহযোগিতায় স্বার্থক হয়ে উঠেছিল বিদ্যাসাগর উত্‍সব।

 

Exit mobile version