দেবী হৈমবতীর আরাধনাকে সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন

পথিক মিত্র, হুগলি: শারদীয়া উত্‍সবের সমাপ্তি। কিন্তু এই মূহুর্তে সেজে উঠছে হুগলী জেলার দুটি শহর। অতীতের ফরাসডাঙ্গা, বর্তমানের চন্দননগর এবং অতীতের রিশিড়া বর্তমানের রিষড়া। সাজো সাজো রব হুগলির এই দুটি শহরে। হৈমন্তিকা জগত্‍জননী দেবী উমা হৈমবতীর আরাধনায় মেতে উঠতে চলেছে হুগলির এই দুটি শহরে। চলছে নানা ভাবনার মোড়কে মুড়ে নিজেদের দেবী আরাধনকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার অক্লান্ত প্রচেষ্টা। এক পুজো কমিটি অন্য পুজো কমিটিকে টেক্কা দিতে রীতিমত প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ।

হুগলি জেলার রিষড়ার মান্যতাপ্রাপ্ত ৯২টি পুজোও কিন্তু পিছিয়ে নেই জেলা তথা রাজ্যের দরবারে চন্দননগরের সঙ্গে রীতিমত পাল্লা দিয়ে মাতৃ আরাধনকে শিখরে তুলে শহরের নাম উজ্জ্বল করতে। উল্লেখ করা যায় মিনি ভারত নামে সমধিক পরিচিত হুগলি জেলার এই জনপদ রিষড়ার প্রশাসনিক মান্যতাপ্রাপ্ত পুজোর কমিটির সকলে ব্যস্ত নিজেদের শৈল্পিক ভাবনাকে সঠিকভাবে রূপদান করতে।

 

পিছিয়ে নেই প্রশাসনও। সিংহবাহিনী দেবী হৈমবতীর আরাধনকে সুষ্ঠরূপে পরিচালনা করতে তত্‍পর পুলিশ, পৌরসভা, থানা, বিদ্যুত্‍, অগ্নিনির্বাপন, রেলপুলিশ, ও সরকারী রেল পুলিশের মতো সরকারী প্রশাসনিক দপ্তরগুলিও। আসন্ন জগদ্ধাত্রী পুজোকে বহু ভাষাভাষী ও বহু ধর্মের মিলনস্থল হুগলি জেলার এই শহরে স্বার্থক করতে তুলতে নানা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ওই সকল সরকারী প্রশাসনিক দপ্তরগুলি।

আর এই নিয়েই রিষড়ার সকল পুজো কমিটি এবং পৌরসভা, থানা, বিদ্যুত্‍, অগ্নিনির্বাপন, রেলপুলিশ, ও সরকারী রেল পুলিশকে একত্রিত করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে গতকাল অর্থাত্‍ ৮ নভেম্বর অপরাহ্নে রিষড়া রবীন্দ্র ভবনে আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশেষ সমন্বয় সভার। সভায় রিষড়া শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই শহরের প্রধান উত্‍সব দেবী হৈমন্তিকার আরাধনাকে সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে নানা রকম প্রশাসনিক নিয়ম-ও সুযোগ-সুবিধার কথা জনসমক্ষে তুলে ধরা হয় গতকাল।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত প্রসাদ জাভালগী, ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ শ্রীরামপুর অরবিন্দ কুমার আনন্দ, অ্যাসিস্টেন্স কমিশনার অফ পুলিশ(১) শুভঙ্কর বিশ্বাস, অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের অফিসার ইন চার্জ অতনু পাঠক, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুত্‍ পর্ষদের পক্ষে অরুনাভ সাহা, সরকারী রেল পুলিশের শেওড়াফুলীর অফিসার ইন চার্জ প্রদ্যুত্‍ ঘোষ, রিষড়া থানার অফিসার ইন চার্জ সঞ্জয় সরকার, রিষড়ার সার্কল ইন্সপেক্টর প্রবীর দত্ত, রিষড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র, ওই পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান জাহিদ হাসান খান, রিষড়া জগদ্ধাত্রী পুজক কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে অমরনাথ দত্ত সহ রিষড়া পৌরসভার্ফ সকল কাউন্সিলারগণ।

উল্লেখ করা যায় এই বছর রিষড়ায় হৈমবতীর আরাধনা শুরু হচ্ছে ১৯ নভেম্বর অর্থাত্‍ নবমীর দিন, এই উত্‍সবের পরিসমাপ্তি ঘটবে বনাঢ্য বিসর্জন শোভাযাত্রার মাধ্যমে আগামী ২৫ নভেম্বর। এই মূহুর্তে রিষড়াবাসী অধীর আগ্রহে দিন গুনছে আসন্ন এই হৈমন্তিকা উত্‍সবে নিজেদের উজাড় করে দিতে। সঙ্গে সম্পুর্ণ প্রস্তুত সকল প্রশাসনিক দপ্তরগুলিও।

%d bloggers like this: