সাবেকিয়ানায় মোড়া চাতরা কালীতলা বারোয়ারী

সুফল তর্কালঙ্কার, হুগলি: ২০২৩ এ ২৬ বছরে পা দিয়েছে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর চাতরা কালীতলা বারোয়ারী সমিতি। গতবছর রজত জয়ন্তী বর্ষ পালন করে ঝিমিয়ে না পড়ে বর্তমান বছরেও রীতিমত চমত্‍কার ঘটাতে তৈরি এই সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ। যে সমিতির সদস্যরা একবার চটক দেখতে কোনও ভাবেই ইচ্ছুক নন, তাঁরা তাঁদের মাতৃ আরাধনাকে সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে চমৎকার করতে প্রস্তুত, সেই চাতরা কালীতলা বারোয়ারী সমিতির ২৬ বছরের ভাবনা একবার চটকদারী নয় আরও একবার চমত্‍কার।

কথা প্রসঙ্গে এই বারোয়ারী সমিতির কার্যকরী সভাপতি এলাকার প্রবীণ মানুষ দিলীপ কুমার সাঁতরা আমাদের জানালেন, তাঁদের পুজো এই বছর ২৬ বছরে। আর বিগত কয়েক বছর ধরেই তাঁদের পুজোকে তাঁরা একটু অন্যভাবে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সকলকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। এই পুজোর মূল খরচ কালীতলা এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তাঁরা পান বলেও তিনি জানান।

এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি এই পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক চাঁপদানী বিধানসভার বিধায়ক অরিন্দম গুঁইনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তাঁদের পাশে থেকে তাঁদের পুজোকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। মূলত সাবেকিয়ানা বজায় রেখেই এই সমিতির মাতৃ আরাধনা সংঘটিত হয়ে চলেছে এত বছর ধরে। সমিতির সম্পাদক মানস কুমার দাস জানান, সাবেকিয়ানার সঙ্গে সামান্য কিছু থিমের মিশ্রণ ঘটিয়ে কিছুটা হলেও আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলতে চাইছেন তাঁরা।

শুধুমাত্র দেবী দুর্গার আরাধনা নয়, পুজোকে কেন্দ্র করে সাধারণকে একাত্ম করে নিতে নানা সামাজিক কাজের সঙ্গেও এই বারোয়ারী সমিতি সারা বছর জড়িত এবং সমাজের প্রান্তিক মানুষগুলির পাশে থেকে উত্‍সবের দিনগুলোতে তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়ে আনন্দ দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর বলেও মানস বাবু জানান।

শুধুমাত্র আড়ম্বরের মোড়কে নিমজ্জিত না থেকে আপামর জনসাধারনকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলতে বদ্ধ পরিকর হুগলি জেলার শ্রীরামপুর চাতরা কালীতলা বারোয়ারী সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ। ২৬ তম বর্ষে শ্রীরামপুর চাতরা কালীতলা বারোয়ারী সমিতির সাবেকিয়ানায় ঘেরা প্রতিমা নির্মাণ করছেন শ্রীরামপুর চাতরা কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পী তরুণ কুমার পাল। মন্ডপ নির্মাণ ও আলোক মালায় সাজিয়ে তোলার দায়িত্বে রয়েছেন যথাক্রমে বির্জু কুমার সাউ ও কার্তিক ঘোষ।

এই বছর এই পুজোর মিডিয়া সহযোগী হিসেবে রয়েছে সংবাদ প্রতিখন। প্রকৃতির বিরুপতার কারণে কয়েকটাদিন তাঁদের পুজোর ব্যবস্থাপনায় কিছুটা বিলম্ব হলেও এই মূহুর্তে যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় চলছে মন্ডপ ও প্রতিমা নির্মানের কাজ।

%d bloggers like this: