মুন্সিরহাটে অ্যান্টি হান্টিং অপারেশন

অভিজিৎ হাজরা, হাওড়া : হাওড়া যৌথ পরিবেশ মঞ্চ মাজু সাব ইউনিটের সদস্য সৌরভ দত্ত সম্প্রতি মাজু বাজারে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করে একটি স্টেশনারি দোকানের সামনে দুই চোরাশিকারী দাঁড়িয়ে আছে। তাদের একজনের কাছে প্যাকেটে মধু ও অন্য জনের হাতে তীরের ফলা যুক্ত দুটি বাঁশের লম্বা দন্ড।সৌরভ তাদের কাছে গিয়ে ওখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করায় তারা বলে,তারা মুন্সিরহাটে এসে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে। এলাকায় তাঁরা মধু ও তার পাশাপাশি বন্য প্রাণী শিকার করে। সৌরভ তাঁদের বলে,এই কাজটা বে আইনি। এর জন্য তাঁদের শাস্তি ও জরিমানা হতে পারে।এই কথা শুনে তাঁরা ভয়ে তীরের ফলা যুক্ত দুটি লম্বা বাঁশের দন্ড ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

সৌরভ জানায়, ‘চোরাশিকারীদের সঙ্গে কথাবার্তা হওয়ার সময় তাঁদের কথাবার্তা ও ফটো তুলে ছিলাম। চোরাশিকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকার জন্য মুন্সিরহাট প্রেসে ফ্লেক্স ছাপিয়ে ফেরার সময়ে লক্ষ্য করি, মুন্সিরহাটের একটি জায়গায় দু’ তিনটি অনগ্ৰসর শ্রেণীর পরিবার তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে”। এটা দেখে সৌরভ সেই খবর বন দফতরের আরবান রেঞ্জের অফিসারকে সকালের ঘটনাটা জানায়। তাঁরা কোথায় তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে রয়েছে সেটাও জানান।

এই খবর শোনার পর বিকালে বন দফতরের আরবান রেঞ্জের কর্মীরা মুন্সিরহাটের ঐ স্থানে এসে একটি মৃত বাদুর উদ্ধার করে। এরপর বন দফতরের আরবান রেঞ্জের কর্মীরা চোরা শিকারি দল সহ তাঁদের পরিবারের লোকজনদের বন্য প্রাণী হত্যা করার জন্য শান্তি ও জরিমানা প্রসঙ্গে অবহিত করেন।এর পাশাপাশি বন্য প্রাণী বাঁচানোর জন্য তাঁদের সচেতন করে।পরে তাঁদের মুন্সিরহাট স্টেশনে ট্রেনে চাপিয়ে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়।

সৌভিক জানান, চোরাশিকারীদের ফেলে যাওয়া তীরের ফলা যুক্ত দুটি বাঁশের লম্বা দন্ড বন দফতরের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজকের এই অ্যান্টি হান্টিং অপারেশনের সহযোগিতা করে ‘হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চ’র মাজু সাব ইউনিট।

%d bloggers like this: