দিপান্বীতা: যদিও প্রায় আপনারা সকলেই কম বেশী এই রেসিপিটির সঙ্গে পরিচিত, তবুও এই গরমে একেবারে অল্প তেলে কি করে সুস্বাদু জিভে জল আনা চিংড়ির মালাইকারি বানাবেন আসুন তা আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি।
প্রথমে বলবো সুস্বাদু এই বাঙালি ডিশ বানাতে কি কি উপকরণ প্রয়োজন।
১. চিংড়ি মাছ মাঝারি সাইজের – ৫০০ গ্রাম (২৮ পিস)
২. পেঁয়াজ – ছোটো সাইজের ৬টা
৩. রসুন ছোটো ৪ কোয়া
৪. দেড় চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
৫. কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো দেড় চা চামচ
৬. জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ
৭. ৩টে এলাচ
৮. দুটো ছোটো তেজপাতা
৯. ৪টে লবঙ্গ
১০. দুই টুকরো দারচিনি
১১. কাঁচা লঙ্কা ছোটো সাইজের ৫টা
২২. গোটা জিরে অল্প একটু (পরিমাণ মতো)
২৩. নারকেলের দুধ (৬০০ মিলি)
২৪.. লবণ পরিমাণ মত
২৫. চিনি স্বাদ মত
২৬ ক্রিম অথবা বাটার (এখানে আমি সবথেকে ছোটো ছোটো সাইজের ২ প্যাকেট বাটার ব্যবহার করেছি)
২৭. গরম-মশলার গুঁড়ো-সামান্য পরিমাণে
২৮. ধনেপাতা -সামান্য গারনিশিংয়ের জন্য
এবার বলি কিভাবে বানাবেন বাঙালীর প্রিয় এই খাবারটি
চিংড়ি মাছ গুলোকে খোসা রেখে ভিতর থেকে কাঁচির সাহায্যে কালো নোংরা বার করে ফেলুন আর মাছের পা আর শুঁড়টা কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নুন আর হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
এরপর কড়াই বা ফ্রাই প্যানে একদম সামান্য তেলে মাছগুলোকে হালকা করে ভেজে তুলে রেখে দিয়ে কড়াইতে এক চা চামচ সর্ষের তেল দিয়ে তেল গরম হলে গোটা গরমমশলা, তেজপাতা, গোটা জিরা দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচা লংকার পেস্টটিকে গরম তেলে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
কষানোর সময় হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, আর জিরা গুঁড়ো দিয়ে কষাতে হবে। এর সাথে দেবেন স্বাদ মতো লবন ও একদম সামান্য চিনি। মশালা থেকে তেল বেরোতে শুরু করলে অল্প অল্প করে নারকোলের দুধ ওই মশালায় দিয়ে নাড়তে হবে।
এর পর বাকি দুধটা দিয়ে একদম আঁচে কিছুক্ষণ কষাতে হবে। মিনিট পাঁচ কষানোর পর ক্রিম (না থাকলে মাখন যেটা আমি ব্যবহার করেছি) দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করার পর একে একে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ গুলোকে ও ঝোলে মিশিয়ে দিয়ে আর কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা একদম অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করার পর যখন গ্রেভিটা থক থকে হয়ে যাবে তখন নামিয়ে নিয়ে ওপরে ছড়িয়ে দিন এক চিমটে গরম মশালার গুঁড়ো ও অল্প ধনেপাতা।
এরপর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন একদম অল্প তেলে তৈরি করা গরম-গরম চিংড়ির মালাইকারি।