এখনও সচেতন না হলে সমূহ বিপদ প্রাণিকূল আর উদ্ভিদকূলের

ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকে ২২ মে দিনটি পালন করে আসছে আন্তর্জাতিক জীব বৈচিত্র্য দিবস হিসেবে, জীব বৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে সংবাদ প্রতিখনে আলোকপাত করলেন কিশলয় মুখোপাধ্যায়

এবারে এই  হাঁসফাঁস গরমে সোশাল মিডিয়াতে এই নিয়ে ছবি ভাইরাল হয়েছিল ‘তখন-এখন’ ক্যাপশানে। অর্থাৎ একটি রাস্তা। রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধ গাছ। তারপর ধান জমি। এটা ‘তখন’, আর ‘এখন’ ছবিটায় দেখা যাচ্ছে রাস্তার ধারে গাছগুলো ভ্যানিশ। গাছ গুলো কেটে দেওয়া হয়েছে আর তার দরুন গরমও পড়েছে বিস্তর। পরিবেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি হল জীব বৈচিত্র্য বা বায়োডায়ভার্সিটি।

জীব বৈচিত্র্য আমাদের পৃথিবীতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরতেই ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকে ২২ মে দিনটি পালন করে আসছে আন্তর্জাতিক জীব বৈচিত্র্য দিবস হিসেবে। এই বছর থিম হল ‘ চুক্তি থেকে কাজে করে দেখানো, কাজের মাধ্যমে জীব বৈচিত্র্য পুনরায় বানানো’। কুনমিং-মন্ট্রিল আন্তর্জাতিক জীব বৈচিত্র্য ফ্রেমওয়ার্ক করে একটি চুক্তি বা এগ্রিমেন্ট করা হয়। এরপর এটাকে কাজে বা বাস্তবায়িত করতে হবে। এটি হল অ্যাকসন। মে মাসের ১ থেকে ২২ তারিiখ পর্যন্ত ক্যাম্পেন করা হয়। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতে হ্যাশট্যাগ করে প্রচার করা হয়। এই ভাবে বিভিন্ন প্রকার ভাবে জীব বৈচিত্র্য নিয়ে সচেতনতা করা হচ্ছে।

বর্তমানে প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির হয়েছে। এর যেমন ভালো দিক আছে তেমনি উল্টোদিকে জীব বৈচিত্র্যে কুপ্রভাব পড়ছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।জীব বৈচিত্র্যের এই ঘনীভূত বিপদ সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষা ও শিল্পের উন্নতি দুটোরই গুরুত্ব আছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে শিল্পের উন্নতিতে গুরুত্ব দিলেও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছিনা। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে।

সোজা কথা আমরা যদি জীব বৈচিত্র্য, পরিবেশ রক্ষা এসব নিয়ে সচেতন না হই আর ধুর বলে গুরুত্ব না দিই তাহলে আরো বিপন্ন হবে প্রাণিকূল আর উদ্ভিদকূল।

error: Content is protected !!

Discover more from Sambad Pratikhan

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading