অনিমেষ: সামনেই ফলহারিণী অমাবস্যা তিথি।
কখন পড়েছে এবছর তিথি, এই অমাবস্যার কি কি শুভ দিক আছে জানেন?
এইদিন মা তারাকে নানা মরশুমি ফল দিয়ে পুজো করার রীতি। মোক্ষফল প্রাপ্তির জন্য এই ফলহারিণী অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে বলে মনে করা হয়।
আচ্ছা এবছর ঠিক কখন পড়েছে অমাবস্যা তিথি জেনে নিন-
আগামী ১৮ ই মে, বাংলার ৩ জ্যৈষ্ঠ, বৃহস্পতিবার, এ বছর ফলহারিণী অমাবস্যা তিথিটি পড়েছে। ১৮ মে রাত ৯টা ১৩ মিনিট থেকে পরদিন ১৯ মে, শুক্রবার রাত ৮টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত থাকবে এই অমাবস্যা তিথি।
আচ্ছা এবার বলুন তো এই তিথিটির নাম ফলহারিণী অমাবস্যা হলো কেনো? আসুন জেনে নেওয়া যাক
বিশ্বাস করা হয় এই যে এই অমাবস্যা তিথিতে মা তারার পুজো ভালো ভাবে সু -সম্পন্ন করলে, মা ভক্তের সমস্ত অশুভ ফল নাশ করে শুভ ফলের প্রাপ্তি ঘটান ৷ সমস্ত অশুভ কর্মফল হরণ করেন বলেই এই অমাবস্যার নাম ‘ফলহারিণী অমাবস্যা’। দেখতে গেলে ‘হরণ’ নয়, ‘দেওয়া’র জন্যই মা ভক্তের থেকে এই পুজো নেন।।
মা এদিন তার সমস্ত ভক্তের কর্মফল হরণ করেন, তাঁদের অশুভ কর্মফলপ্রাপ্তি রোধ করেন ও অভীষ্টফল দেন। বলা হয়, মা এদিন তাঁর ভক্তকে মোক্ষফল প্রদান করেন। ফলহারিণী অমাবস্যা পুজোর দিন মা তারা স্বয়ং তাঁর সন্তানদের শুভ ফল প্রদান করেন। এটাই এই অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য।
বিশ্বাস, এদিন মায়ের বিশেষ পুজোয় ভক্তের বিদ্যালাভ ও যশোলাভ ঘটে। কর্মের ও অর্থভাগ্যের উন্নতি ঘটে। সাংসারিক বা দাম্পত্য জীবনের নানা বাধা কেটে যায়। মায়ের কৃপায় অভীষ্ঠ ফল লাভ হয়। যেহেতু এ তিথি খুব পুণ্য তাই মানসিক ও আধ্যাত্মিক জাগরণও ঘটে এই বিশেষ তিথিতে৷।
এই দিন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও মা সারদাদেবীকে ষোড়শী রূপে পুজো করেছিলেন। তাই রামকৃষ্ণ মঠ ও আশ্রমে এই ফলহারিণী অমাবস্যার পূজা ষোড়শী পুজো নামে পরিচিত।
কি কি করা উচিত এই তিথিতে?
মাতৃমন্দিরে পুজো দেওয়ার সময়ে ১৬তি কাঠালি কলায় সিঁদুর লেপে অর্পণ করুন মাকে।
একটি একটাকার কয়েনে সিঁদুর লেপে মায়ের পায়ে অর্পণ করুন এবং পুজোর শেষে ওই এক টাকার কয়েনটি আপনার টাকা রাখারত যায়গায় রেখে দিলে অর্থাভাব কাটবে।
এই তিথিতে একটি জবা ফুল নিয়ে মনোস্কামনা জানিয়ে মায়ের পায়ে অর্পণ করুন।
কি কি করা উচিত নয় এই তিথিতে?
প্রথমত, নিজের বসতবাটিটিকে পরিষ্কার রাখবেন, লক্ষ্য রাখুন কোথাও যেন কোনও ময়লা না থাকে।
কারও সঙ্গে অযথা দুর্ব্যবহার করবেন না।
মহিলারা এই অমাবস্যায় চুল ছেড়ে বাইরে বেরবেন না।
তেমাথার মোড়ে কোনও কিছু পরে থাকলে তা ডিঙিয়ে পেরোবেন না।
জয় মা তারা।।