নিজস্ব সংবাদদাতা: আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ঠিক আগেই এল৪ ও এল৫ এর ভয়ঙ্কর ক্ষতি হওয়াতে যাঁর কোমরের নিচ থেকে অসহনীয় যন্ত্রনা ও ক্রমশ যাঁর পায়ের জোর ক্রমেই কমতে থাকছিল এবং যাঁর শরীরের নিচের অংশ ক্রমেই হয়ে পড়ছিল অবশ সেই মানুষটি একটা সময় ভেবেছিলেন এরপর তাঁর হয়ত আর কোনদিনই কোনরকম প্রতিযোগিতা তো দূর তাঁকে হয়ত তাঁর প্রিয় খেলা থেকেই সরে দাঁড়াতে হবে। তবে ঈশ্বরের করুণা এবং তাঁর ডাক্তারদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং নিজের অদম্য মনের জোরে তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার দিন দুয়েক আগে সুস্থ হয়ে উঠে প্রতিযোগিতা মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরলেন, এবং একটি সোনা ও তিনটি রূপো জয় করতে সক্ষম হলেন।
অদম্য মানসিকতার এই মানুষটি হলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের পাওয়ারলিফ্টিং চ্যাম্পিয়ন ৪৬ বছরের গৃহবধূ সীমা দত্ত চ্যাটার্জী। যাঁর ঝুলিতে ইতিমধ্যেই রয়েছে নানা জাতীয় ও কমনওয়েল্থ সহ নানা আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক। উল্লেখ করা যায়, ভারতের দক্ষিণে কেরালার আলাপূজায় এই মাসের ১ থেকে ৬ পর্যন্ত বসেছিল এশিয়ান ইকুইপিড পাওয়ারলিফ্টিং চ্যাম্পিয়ানশিপের আসর। আর এই আসরেই সকল রকম শরীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সীমা দত্ত চ্যাটার্জী নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হলেন।
এবারের এই এশিয়ান ইকুইপিড পাওয়ারলিফ্টিং চ্যাম্পিয়ানশিপের ৬৯ কেজি ক্যাটিগরিতে স্কোয়াট ও ডেডলিফ্ট বিভাগে রূপো ও বেঞ্চপ্রেসে সোনা এবং সর্বমোট মিলিয়ে রৌপ্য পদক জয় করতে সক্ষম হন।
সংবাদ প্রতিখনকে সীমা দত্ত চ্যাটার্জী জানান, তিনি মনে করেন তাঁর এইভাবে ফিরে আসা সম্ভব পর হয়েছে যাঁদের জন্য সেই ডাক্তারগণ, সকল শুভানুধ্যায়ী, তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের তিনি তাঁর এই সাফল্য উত্সর্গ করতে চান।