Site icon Sambad Pratikhan

নতুন প্রজন্মকে নাট্যমুখী করতে বছরভর নাট্য উৎসবের আসর বসিরহাটে

Advertisements

নিজস্ব সংবাদদাতা, বসিরহাট: মোবাইল ফোনে গেম ও সোশ্যাল মিডিয়া সহ ইন্টারনেট সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে মেতে থাকে এখনকার নতুন প্রজন্ম। তার ফলেই থিয়েটার তথা নাটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে নাট্যপ্রেমী বাঙালির নতুন প্রজন্ম। বরাবরই নাট্য চর্চার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল শহর বসিরহাট। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ম্লান হয়েছে বসিরহাটের নাট্য চর্চা। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে পর্যন্তও বসিরহাটের টাউন হল, রবীন্দ্র ভবন ও টাকি সংস্কৃতি মঞ্চের মতো একাধিক মঞ্চে নাটকের আসর বসতো। সেই নাটক দেখতে ভিড় জমাতো প্রচুর মানুষ। হাউসফুল হয়ে যেত থিয়েটার গুলো। দেদার বিক্রি হতো টিকিট। কিন্তু কালের সাথে সাথে ভাটা পড়েছে নাট্য চর্চার।

 

একাধিক থিয়েটারের দল বন্ধও হয়ে গিয়েছে। যার ফলে সংস্কৃতি থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছিল ইছামতি নদী পার্শ্বস্ত প্রাচীন শহর বসিরহাট। তাই সেই ঐতিহ্যকে ফিরে পেতে ও যুব সমাজকে নাট্যমুখী করতে অভিনব উদ্যোগ নিল বসিরহাটের নাট্য সংস্থা ‘বসিরহাট সাত্ত্বিক’। তারা বছরভর নাট্য উৎসবের পরিকল্পনা নিয়েছে। চলতি মাস থেকে শুরু করে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল অব্দি প্রতি সপ্তাহে বসিরহাটের রবীন্দ্রভবনে নাটকের আসর বসবে। সেখানে সুন্দরবন সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫০টিরও বেশি নাট্য দল এই নাট্য উৎসবে অংশগ্রহণ করবে। তারই শুভ সূচনা হলো এদিন। বিশিষ্ট নাট্যপ্রেমী সুরজিৎ মিত্র, বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র ও বসিরহাট ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৌশিক দত্তরা এই নাট্য উৎসবের সূচনা পর্বে সামিল হয়ে এই প্রচেষ্টাকে আরও উৎসাহিত করলেন এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন। মূল উদ্যোক্তা চন্দন মুখার্জি জানান, শুধুমাত্র শহর নয় অধুনা বসিরহাট জেলার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের যুব নাট্য প্রতিভাকে তুলে আনা যাবে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। আগামী দিনে পরিকল্পনা রয়েছে নাটক নিয়ে যাতে কর্মশালার আয়োজন করা যায়।

Exit mobile version