নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলি: বলাগড় বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা আবার ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের বেতনের একদিনের প্রাপ্ত অর্থে তৈরি করলো ছাত্র-ছাত্রী সহায়তা ফান্ড। সেই ফান্ডে যে অর্থ জমা পড়েছে তা প্রায় ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সেই টাকা তুলে দেওয়া হবে সেই সমস্ত শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য যারা কোন রকম বৃত্তি লাভ করে না এবং দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। কোবিড ১৯ এর জন্য পর পর লকডাউন এবং বিধি নিষেধে বিপর্যস্ত গ্রাম বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকেরা তাঁরা ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন। তার জন্য কলেজে দেখা দিয়েছে ড্রপ আউটের সম্ভাবনা আর যা শিক্ষাক্ষেত্রে সত্যিকারের বিপদ ডেকে আনবে ভবিষ্যতে।
সেই কথা মাথায় রেখেই বলাগড় কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা এগিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বিগত প্রায় দু’বছর যাবদ। এর আগে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক শুকনো মুদিখানার খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন অধ্যাপকেরা। বলাগড় কলেজের জাতীয় সেবা প্রকল্প দত্তক গ্রাম লঙ্কাতোলা সহ সমগ্র জিরাটে নানান স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সাথে নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তুলে দিয়েছে খাদ্য সামগ্রী।
স্বেচ্ছাসেবকদের মুষ্ঠিভিক্ষার খাদ্য দিয়ে করেছে দরিদ্র্য নারায়ণ সেবা। মুষ্ঠিভিক্ষার খাদ্য তুলে দেওয়া হয়েছে গরীর মানুষের হাতে। দেড় বছর ধরে প্রায় প্রতি সপ্তাহে কোন না কোন মানুষ জাতীয় সেবা প্রকল্পের অফিস থেকে সংগ্রহ করেছে খাদ্য সামগ্রী। হুগলি জেলায় মানব সেবায় বলাগড় কলেজ আজ অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপনে সমর্থ হয়েছে। এছাড়া ক্যান্সারে আক্রান্ত এক প্রতিবন্ধি ভাইকে একটি হুইল চেয়ার ও নগদ দশহাজার টাকা দিয়েছে জাতীয় সেবা প্রকল্প বলে সংবাদে প্রকাশ।