এই বিষয় সম্পর্কে অনেকদিন ধরেই স্থানীয় ডানকুনি পৌরসভা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, স্থানীয় থানা সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে আবেদন জানিয়েও কোন রকম সদুত্তর পান নি এই এলাকার স্বেচ্ছাসের্বী সংস্থা সেভ ট্রি-সেভ ওয়ার্ল্ড নামক এক সংস্থা বলে জানান সংস্থার সদস্যরা। এই বিষয়ে ডানকুনি পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক ও প্রাক্তন পৌর-প্রধান হসিনা শবনমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডানকুনি পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য নিজস্ব ডাম্পিং এর জায়গা নির্ধারিত করা হয়েছে। ফুড কর্পোরেশন গোডাউন সংলগ্ন ও একটি বহুজাতিক সংস্থার বাণিজ্যিক শাখা সন্নিহিত এলাকার রাস্তার ওপর যে ময়লা ও বর্জ্য জমা করে রাতের অন্ধকারে আগুন জ্বালিয়ে পরিবেশকে রীতিমত দূষিত করা তোলা হচ্ছে সেই বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ বা কারা লুকিয়ে ওই এলাকায় ময়লা ও বর্জ্য ফেলে আসছে ও আগুন জ্বালিয়ে তা ধ্বংস করার চেষ্টাও করছে। এর ফলে যে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডানকুনি পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক হসিনা শবনম জানান, তাঁরা এই বিষয়টিতে অবিলম্বে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এখন যে প্রশ্নটি উঠে আসে পৌরসভার নাকের কাছে কী করে এইভাবে ময়লা ফেলে ও তা জ্বালিয়ে এলাকার পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে এবং ঠিক কি কারণে পৌরসভা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ মৌনীব্রত অবলম্বন করে চলছেন সেটা, যদিও অকুস্থল থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অফিস একদম কাছেই। সবথেকে বড় কথা এইভাবে ময়লা ও বর্জ্য আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করার ফলে যে কোন সময়ে বড় ধরনের কোনও রকম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটাও অসম্ভব নয়। কয়েকদিন আগেই এই এলাকার চাকুন্দিতে একটি প্লাস্টিক কারখানার ময়লা ও বর্জ্য জ্বালিয়ে ধ্বংস করতে গিয়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কিন্তু কোনও রকম ভাবেই বা কেনই বা টনক নড়ছে না স্থানীয় প্রশাসনের নাকি এর পেছনে কাজ করছে কোনও এক অজ্ঞাত কারন যার বলি হচ্ছে এই এলাকার সাধারণ মানু, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই এলাকার আগামীর ভবিষ্যত্।