স্বরূপম চক্রবর্তী: বাংলা তথা ভারতের নবজাগরণের ও সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের অন্যতম কাণ্ডারী তথা এই বঙ্গের অন্যতম মুক্তমনা, দৃঢ়চেতা আমাদের সকলের প্রাতঃস্মরণীয় বজ্রকঠিন অথচ মহানুভব মানুষ, যিনি দেশের আপামর অন্তঃপুরবাসিনীদের কথা ভেবে তাঁদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে ও তত্কালীন সময়ের অকাল বৈধব্য রুখতে যা মানুষটি আমাদের সকলের কাছে প্রনম্য সেই মহানুভব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যিনি প্রকৃতপক্ষেই ছিলেন জীবন্ত ঈশ্বর, তাঁর জন্মের দ্বি-শতবার্ষিকীতে আজ আমরা উপনীত। আর এই মহান মানুষটিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে ও তাঁর জীবনের নানান দিককে আপামর জনগণের সামনে তুলে ধরে বিদ্যাসাগরের শিক্ষায় বর্তমানের ক্ষয়িষ্ণু সমাজকে শিক্ষিত করে তুলতে যে মানুষটি বদ্ধপরিকর তিনি হুগলি জেলার শ্রীরামপুর শহরের বাসিন্দা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বংশের সঙ্গে যাঁর সামান্যতম কিছুটা হলেও যোগ রয়ে গেছে সেই অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও শ্রীরামপুর শহরের ঐতিহ্যের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আয়োজন করতে চলেছেন বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দ্বিতীয় বর্ষ বিদ্যাসাগর উত্সবের, আগামীকাল ১৩ ডিসেম্বর সন্ধায় শ্রীরামপুর শহরের টাউন হল হিসাবে খ্যাত রাজা কিশোরীলাল গোস্বামী নামাঙ্কিত ভবনে। গানে, গল্পে, কথায়, কবিতায়, আলোচনায় এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিদ্যাসাগর উত্সব। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান কিভাবে সকল নিয়ম মেনে অনুষ্ঠিত করবেন সেই বিষয়ে অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনুষ্ঠানে প্রত্যেক বার মাইক্রোফোন ব্যবহার করার পর তা স্যানিটাইজ করা হবে যার ফলে পরের শিল্পী সুরক্ষিত থাকবেন, এছাড়াও সমবেত সংগীতের সবাইকে আলাদা মাইক্রোফোন দেওয়া হবে। স্টেজে ও ড্রেসিং রুমে শুধুমাত্র যন্ত্রসংগীত শিল্পী ও ওই সময় অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন যারা তাঁরা থাকবেন। পুরো টাউন হলকে ফিউম স্যানিটাইজ করা হবে। যা এককথায় অনবদ্য।