সুস্মিতা মুখার্জী, সংবাদ প্রতিখন: ২০১৮-র দুর্গা পুজোর আগে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। ব্রিজ ভাঙার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতার সঙ্গে মূল কলকাতার যোগাযোগ ভেঙে পড়ে। ২ বছর পরও সেই দুর্ভোগে ছেদ পড়েনি। ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরপরই বলা হয়, ১ বছরের মধ্যে ব্রিজ সারিয়ে তোলা হবে। কিন্তু বারবার রেল-রাজ্য সংঘাত ও পরে লকডাউনে কাজ থমকে যায়। কালীপুজোর আগে ব্রিজ চালুর কথা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে এবারের ছবিটা বেশ অন্যরকম; জানা যাচ্ছে এবছরের ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই খুলে যেতে পারে মাঝেরহাট ব্রিজ! কাজ মোটামুটি শেষের দিকে। খবর পূর্ত দফতর সূত্রে। সেতুর ভারবহন ক্ষমতা যাচাই করতে আপাতত চলছে লোড টেস্ট।
পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, “নতুন ব্রিজ ভার নিতে পারবে ৩৮৫ টন। পূর্ত দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ধাঁচে তৈরি হচ্ছে মাঝেরহাট ব্রিজ। বহন ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে বিদেশ থেকে আনা ৮৪টি বিশেষ কেবল। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কেবল ফিক্সিংয়ের কাজ। গাড়ি চলাচলের সময় কেবলে ৬ মিলিমিটারের কম সংকোচন-প্রসারণ হওয়ার কথা। সেই বিষয়টিও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।মাঝেরহাট ব্রিজের ২২৭ মিটার ঝুলন্ত অংশটিকেও বিশেষভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। যাবতীয় পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে”। পূর্ত দফতর সূত্রে এও জানানো হয়েছে, “রেলওয়ে সেফটি কমিশনের সবুজ সঙ্কেত মিললেই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার পর খুলে দেওয়া হবে ব্রিজ”। জনসাধারণের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, বছর শেষের আগে দুর্ভোগ কি মিটবে? ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সেটাই এখন দেখার বিষয়।