সৌমাভ মণ্ডল, বসিরহাট: সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। অল্প টাকা দিলেই মিলছে বাংলাদেশ থেকে এদেশে ঢোকার ছাড়পত্র। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর, বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ ও বাদুড়িয়ায় মোট ৯৬ কিলোমিটার বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে নদী সীমান্ত ৫০ কিলোমিটার, কাঁটাতারের বেড়া ২৬ কিলোমিটার ও স্থল সীমান্ত ২০ কিলোমিটার। এই এলাকা গুলির নজরদারিতে চার ব্যাটিলিয়নের সীমান্তরক্ষী রয়েছে। ব্যাটেলিয়ন নাম্বার গুলি হলো ১৫৩, ১১২, ৮৫ ও ২৭। প্রায় ৮০০ জন রক্ষী সীমান্তে পাহারা দেওয়ার জন্য মোতায়েন রয়েছে। তার মধ্যে ঢিলেঢালা নজরদারি। এমনই ছবি ধরা পড়লো ক্যামেরায়। সীমান্তের বাসিন্দাদের দাবি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে সন্ধ্যা নামতেই অনুপ্রবেশকারীদের দেখা মেলে। সীমান্তে থাকা দালাল ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অশুভ আঁতাতে টাকা দিলেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করা যায় অবাধে। এমনটাই অভিযোগ করছে সীমন্তের সাধারণ মানুষরা।
বসিরহাট মহকুমার ঘোজাডাঙ্গা, হাকিমপুর, সামশেরনগর সহ বেশ কিছু সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ থেকে অবাধে এদেশে ঢোকার জলপথ ও স্থলপথ ব্যবহার করছে অনুপ্রবেশকারীরা। একাধিক সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে যাওয়া আসা করে অনুপ্রবেশকারীরা। এর আগেও গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছিল বসিরহাটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে জঙ্গি প্রবেশের ঘটনায়। বাংলাদেশ থেকে তারা দালাল মারফত সীমান্তের গ্রামগুলি ব্যবহার করে রাতের অন্ধকারে আশ্রয় নিয়ে একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপ চালায় এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীরদের।