‘বিজেপী ও কংগ্রেস এ টিম আর বি টিম’ – দিলীপ যাদব

9প্রবীর বোস ও শুভদীপ দে:  সোমবার বিকালে বৈদবাটী-শেওড়াফুলি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে পথসভায় দেখা গেল বৈদবাটী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের একসাথে সবাই কে।এতদিন এক মঞ্চে বৈদবাটী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সবাইকে দেখা যেত না। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতির দায়িত্ব নেবার পর অরিন্দম গুঁই সবাইকে একমঞ্চে এই সভায় উপস্থিত করলেন। আজকের এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বৈদবাটী শেওড়াফুলি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজয় প্রতাপ সিং, স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর পাল, সুবীর ঘোষ, পিন্টু মাহাতো, রিষড়া পৌরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের। এক কথায় হুগলি জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব ও শ্রীরামপুর লোকসভার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরিন্দম গুঁই সকলকে একমঞ্চে উপস্থিত করিয়ে দলীয় সংহতির এক বার্তা তুলে ধরলেন।

এদিনের সভায় হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, মোদী সরকার দেশের মানুষের সর্বনাশ করে দিয়েছে। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো পরিকল্পনাই নেই।

অর্জুন সিং সম্পর্কে বলতে গিয়ে দিলীপ বাবু বলেন আমাদের এলাকার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছেন তা বোঝার মত জ্ঞান-বুদ্ধি, শিক্ষা-দীক্ষা অর্জুন সিং এর আছে কিনা টা তাঁর জানান নেই, আর অর্জুন সিং যে নিজের এলাকায় মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন, তার গুন্ডাগিরির জন্যে মানুষ আর তার সাথে নেই।

স্থানীয় বিধায়ক আব্দুল মান্নান সম্পর্কে বলতে গিয়ে দিলীপ বাবু বলেন গত পাঁচ বছরে মাত্র একদিন রাস্তায় নেমে ছবি তুলে বাড়ি চলে যাওয়া বিধায়ক, আর তিনি শেওড়াফুলি বাজার নিয়ে একটা চিঠি করা ছাড়া এই বিধানসভা এলাকার মানুষের জন্য কিছু করেছেন কিনা তা জানা নেই। আর অর্জুন সিং শেওড়াফুলিতে এসে আব্দুল মান্নানের মুখের কথাগুলিই এখানে বলেছেন, যার অর্থ গঙ্গার এপার-ওপার তাদের মধ্যে কোনও বন্ধুত্ব হয়েছে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। আর এই কারণেই বিজেপী অনড় মান্নানসাহেবদের দল আজ এ টিম আর বি টিম।

error: Content is protected !!

Discover more from Sambad Pratikhan

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading