সৌমাভ মণ্ডল, বসিরহাট : বসিরহাট মহকুমার শিল্প সাথী সংস্থার ৮০০ জন হস্ত্র শিল্পী রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৪০০ প্রতিবন্ধী শিল্পী আছে। সকলেই বিভিন্ন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।কেউ শোলা আবার কেউ পাট, পুথি, মৃৎশিল্প, সেলাই এর কাজ আবার কেউ বাড়িতে বসে গ্লাস প্রিন্টিং এর কাজ করে। রং তুলি ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে তাদের হাতের শিল্পকলা। সবমিলিয়ে এই তিন মাস লকডাউনের জেরে বিপাকে বসিরহাট মহকুমার হস্তশিল্পীরা। ইলা, সীমা, শুলতা, সুমিতা, স্বপ্না ও জ্যোতির মতো শিল্পী যারা এক সময় সারা বছর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে তাদের শিল্পকলা তুলে জীবিকা নির্বাহ করতো তারা আজ অন্য পেশায়। কেউ স্যানিটাইজার ও মাস্ক তৈরি করছে। আবার কেউ বেকার হয়ে ঘরে বসে আছে। যত দিন যাচ্ছে রুজি রোজগার হারাচ্ছে ততই অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ছে এই সব শিল্পীদের। যারা একসময় তাদের হাতের নৈপুণ্যতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রকমের চটের ব্যাগ, পুথি, সেলাইয়ের কাজ, শোলার টোপর থেকে গ্লাস পেইন্টিং আবার কেউ পুতুল তৈরি করে মেলায় নিয়ে যেত। আজ সেটা বন্ধ। টান পড়েছে পেটে। তাই অন্য পেশায় যাওয়ার চিন্তাভাবনা। সরকার যদি এদের পাশে না দাঁড়ায় হয়তো এদের শিল্পকলা চিরতরে বন্ধ হতে পারে। তাই তাদের আবেদন সরকার তথা প্রশাসন যাতে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। একসময় শিল্পীরা এই শিল্পকলার মধ্য দিয়ে রোজগার করে দৈনন্দিন জীবন কাটানোর পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও জীবন-জীবিকা চালাত। ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ১১ বছর ধরে নিজেরাই স্বনির্ভর হয়ে স্বামীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল আজ তা সম্পূর্ণ বন্ধ।