অমিত চক্রবর্তী: করোনা এমন এক রোগ যার শুরুর সঙ্গে অনেকাংশে মিল রয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জার। আর এই ইনফ্লুয়েঞ্জা খুব সহজেই রোধকরা সম্ভবপর হয় যদি রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বা ইমিউনিটি পাওয়ার বেশি থাকে। আবার করোনা প্রতিরোধেও সেই একই কথা বলা হচ্ছে। আর এটা রীতিমত পরীক্ষা দ্বারা প্রমানিত। আজ যখন সারা বিশ্বের বৈজ্ঞানিকেরা ব্যস্ত করোনা নামক মারাত্মক একটি রোগের প্রতিষেধক বার করতে, তখন কিছুটা হলেও আশার আলো দেখালো ভারতের কেন্দ্রীয় হোমিওপ্যাথিক গবেষণা পরিষদ। এই পরিষদ গত পয়লা মে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ টি, নির্দিষ্ট মাত্রায় এবং নির্দিষ্ট নিয়মে, সেবন করলে এটি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে,যা পক্ষান্তরে করোনা ভাইরাস জনিত সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। এই বিষয়ে সংবাদ প্রতিখনকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাত্কারে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সক ডাঃ সৌরাজ ঘোষ জানান, ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক রোগ যেভাবে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে সেই ভাবেই করোনা বা কোভিড-১৯ অনেকটাই সেইভাবেই মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে। আর এর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে যেহেতু মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বা ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানো জয়তবে সহজেই এই মরণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ডাঃ সৌরাজ ঘোষ আরও বলেন ভারতের অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে এই ওষুধ প্রয়োগ করে সফল হয়েছে এবং বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করছে এই ঔষধটি খাইয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তারা খুব ভাল ফল পেয়েছে। ডাঃ সৌরাজ ঘোষ বলেন আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ টি ৫ টি করে দানা পরপর তিনদিন সকাল বেলা খালি পেটে, একইভাবে একমাস পরে আবার খেতে হবে অথবা, দু ফোটা দিনে একবার করে পরপর তিনদিন, আবার একমাস পরে একইভাবে দুফোটা দিনে একবার করে পরপর তিনদিন খেলে মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তবে ডাঃ সৌরাজ ঘোষ এটাও বলেন যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অতি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। তাই মানুষের মধ্যে এই ওষুধকে প্রয়োগ করতে ও ব্যবহার বোঝাতে বিনামূল্যে ওষুধটি বিলি করছেন কেন্দ্রীয় হোমিওপ্যাথি গবেষণা পরিষদ। আর এই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি হুগলীর ডানকুনি থানার পুলিশ কর্মীদের এই ওষুধ তুলে দিলেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সংগঠন এর সদস্য ডাক্তারগণ। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সংগঠনের মূল লক্ষ করোনা প্রতিরোধে প্রথম সারিতে থাকা মানুষ দের এই ওষুধ সম্বন্ধে অবগত করানো। ডাঃ সৌরাজ ঘোষ বলেন এই সময়ে আমাদের সমাজের যে সকল মানুষগুলি সদা লড়াই করে চলেছেন তাঁদের মধ্যে পুলিশ ও সাংবাদিক বন্ধুরা যেভাবে এই পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন, তাই তাঁর এই ওষুধটি এই মূহুর্তে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে বিনামূল্যে তুলে দিচ্ছেন সামাজিকও দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে। এই ওষুধটি সেবন করার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ভাবে সামাজিকও দূরত্ব বজায় রাখা ও সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করে বারে বারে হাত ধুয়ে পরিষ্কার থাকতে হবে ও বাইরে বেরলে অতি অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে, তবেই কিন্তু আমরা এই মরণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইতে জয়ী হতে সক্ষম হব বলে ডাঃ সৌরাজ ঘোষ জানান।