Site icon Sambad Pratikhan

করোনার আবহে এই মূহুর্তে হুগলি জেলা

Advertisements

এই মূহুর্তে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা সকলে বদ্ধপরিকর, এরই মধ্যে আমাদের রাজ্যের নানা প্রান্তে নেওয়া হচ্ছে নানা ব্যবস্থা ও তার সঙ্গে সংবাদের শিরোনামে আসছে নানা খবর। এমনই কিছু খবর নিয়ে করোনার আবহে এই মূহুর্তে হুগলি জেলা সংবাদ প্রতিনিধি: প্রবীর বোস

ভারতীয় ডাক বিভাগকে আজ দেখা গেলো একজন পেনশন হোল্ডারের বাড়ীতে এসে তার পেনশন পৌঁছে দিতে। বালির মোড় ব্যান্ডেল স্টেশন রোডে বাড়ী পেনশন হোল্ডারের নাম রাধা গোবিন্দ চ্যাটার্জি প্রায় ৭০ উর্দ্ধ বয়স্ক এই পেনশনার। তিনি পোষ্টাল ডিপার্টমেন্টে আবেদন করেন যে তিনি অসুস্থ এবং ওনার বাড়ীতে কেউ নেই যে তাকে তার পেনশনটা তুলে এনে দেবে। এই অসহায় বয়স্ক পেনশনার রাধাগোবিন্দ বাবুর বাড়ীতে এসে তার পেনশন তার হাতে তুলে দিলেন হুগলী ডাক ঘরের পোষ্টম্যন অতনু চক্রবর্তী। অতনু বাবু বলেন এটা তাদের ডিউটি।

করোনা ভাইরাস কে আটকাতে বিভিন্ন সতর্কবার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন জেলায় করোনা প্রতিরোধে স্প্রে করার পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। সেইমতো হুগলি জেলায় বলাগড় ব্লকে খামারগাছি সিজা কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে খামারগাছির সমবায় সমিতির লজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার  তৈরি করা হয়েছে। কুড়িটি বেড বিশিষ্ট এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। চিকিৎসা পরিষেবা দিতে যেসব ডাক্তার-নার্সরা এখানে থাকবেন তাদেরও থাকার ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত করতে সিজা কামালপুর বাজারে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয়, এবং দোকানে দোকানে গিয়ে সোশ্যাল দূরত্বের বজায় রাখার জন্য মার্কিং করা হয় বলে জানালেন ওই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান অরিজিৎ দাস।

হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়া পৌরসভা এলাকায় ডাইরিয়াতে শতাধিক মানুষ আক্রান্ত। জানা যায় বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার বাইশটি ওয়ার্ডের মধ্যে চারটি ওয়ার্ডের মানুষ বেশি আক্রান্ত যেমন পাঁচ, সাত, আট ও আঠারো নম্বর ওয়ার্ড, এছাড়াও বাঁশবেড়িয়া এলাকার বেশ কিছু মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। মূলত তিন দিন আগে থেকে অনেকের পায়খানা, বমি শুরু হলে স্হানীয় দোকান থেকে বলে ওষুধ কিনে খাবার পর না কমায় বাড়াবাড়ি হলে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় চিকিৎসার জন্য। কেউ কেউ আবার করোনা ভাইরাসের জন্য হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। তাদের দেখার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীরা খোঁজ নেবার পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। তবে কি ভাবে হলো গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পৌর আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার পানীয় জল পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে সিঙ্গুরে পাঠানো হয়েছে।

Exit mobile version