অনিমেষ মল্লিক, হুগলি: নোভেল করোনা – যেটার নাম শুনলেই আতঙ্কিত হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ, তার মধ্যে আছে নানা গুজব ও অপপ্রচার। যার জন্য গত ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে জারি হয়েছিল জনতা কার্ফিউ। হু (W.H.O.) এই নোভেল করোনা ভাইরাস কে আগেই বিশ্বমহামারী রূপে ঘোষণা করেছিল। চীন, আমেরিকা, ইতালির মতো দেশ কে আগেই গ্রাস করেছে এই করোনা, কেন্দ্রীয় সরকার এই মহামারী রুখতে যথেষ্ট তৎপর, তৎপর রাজ্যে সরকারও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রথম এ আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত ও পরে তা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারা রাজ্যে লক-ডাউন ঘোষণা করেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে লক-ডাউন জারি হল। এহেনাবস্থায় আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা ও রাজ্যের অসংঘটিত শ্রমিক ও দিন মজুরদের জন্য ‘প্রচেষ্টা’ নামক একটি প্রকল্প ঘোষণা করেন যাতে ১০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হবে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত শ্রমিক ও দিনমজুরদের। পুলিশ-প্রশাসন, সরকার, স্বাস্থ্য-দপ্তর নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাজ্যে তথা সমগ্র দেশের মানুষ কে সুস্থ করে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এমতাবস্থায় হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মাননীয় হুমায়ুন কবির পাশে এসে দাঁড়ালেন চন্দননগর স্ট্র্যান্ড সংলগ্ন গরিব দুঃখী মানুষদের জন্য, আগামী ২১ দিনের খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করে। যখন রাজ্যের গরিব মানুষ ক্ষুধার জ্বালা মেটানোর তাগিদে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে, তখন পাশে এসে দাঁড়ালেন স্বয়ং পুলিশ কমিশনার। এই দৃষ্টান্ত মূলক ও সাহসিকতার জন্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মাননীয় হুমায়ুন কবিরের এই পদক্ষেপ আরও একধাপ এগিয়ে দিল পুলিশের মানবিক দিকটিকে এ কথা বলাই যায়।