অমিত চক্রবর্তী: বঙ্গ সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ অভিনয়। আর এই অভিনয় যখন পর্দায় হয় তা অন্যরকম হয়ে ধরা দেয় জনগণের মধ্যে। একটা সময় ছিল যখন আমরা চলমান অভিনয় দেখতে শুরু করি বায়স্কোপ বা সিনেমায়, প্রথমে যা ছিল নির্বাক। পরবর্তীকালে তা সবাক, রঙিন থেকে এখন তা আমাদের ঘরের মধ্যে হাজির। কিছু লোকের কাছে যেটি বোকাবাক্স হিসাবে খ্যাত, সেই বোকাবাক্সেই আমরা দেখতে পাই আমাদের সমাজের নানান ঘটনার প্রতিচ্ছবি। যেগুলি আমাদের সামনে নিয়ে আসেন বর্তমান সময়ের বেশ কিছু নবীন চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকরা। এই মূহুর্তে আমাদের এই বাংলায় যে সকল চিত্র প্রযোজকরা ছোট পর্দার জন্য সিনেমা বানাচ্ছেন তাদের মধ্যে একজনই মাত্র মানুষ সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, যিনি বিগত কয়েক বত্সর ধরে সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের টেলিছবি বানিয়ে চলেছেন দক্ষতার সঙ্গে। তাঁর নির্মিত টেলিছবিগুলি আমাদের জীবনের কথা বলে। আজ থেকে তিন বছর আগে যে টেলিছবি আমাদের সকলে নাড়া দিয়েছিলো সেই “না মানুষের গল্প” টেলিছবি আজ স্থান করে নিয়েছে ফ্রান্সের সিলুয়েট উত্সবে।
তাঁর এই টেলিছবি সম্পর্কে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের জীবনে কিছু মানুষ আছেন যাঁরা শুধুই স্বপ্ন দেখতে ভালবাসেন, তেমনই এক মানুষের জীবনের গল্প নিয়েই এই টেলিছবি।
এই ছবির কাহিনী-চিত্রনাট্য ও পরিচালনা যাঁর ওপর ন্যস্ত ছিল সেই শমিক বোস আমাদের জানালেন তাঁদের এই ছবি দেশে যেমন সমাদৃত হয়েছে, এখন তাঁরা সমান আশাবাদী এই “না মানুষের গল্প” সেই ভাবেই বিদেশের সিনেমাপ্রেমী মানুষদের আপ্লুত করবে। উল্লেক্ষ্য এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকা অভিনয় করেছেন ছবির প্রযোজক স্বয়ং সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।