প্রবীর বসু: সকাল সকাল একটু অন্য ছবি দেখা গেলো হুগলির শ্রীরামপুরে, আচমকাই পৌর প্রতিনিধিদের তত্পরতায় এলাকার মানুষ হতবাক, এই দেখে নিজেদের মধ্যে বলা কওয়া করছে এতদিন পর টনক নড়েছে তাহলে। শ্রীরামপুর ডেঙ্গুতে প্রান কেড়ে নেবার পর অবশেষে প্রশাসনকে একেবারে কোমর বেঁচে রাস্তায় নামতে দেখা গেলো। সাত সকালেই বৃহস্পতিবার মাহেশ এলাকার ২৪ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে যুদ্ধ কালীন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু দমনে পৌরসভার পৌরপ্রধান সহ বিভিন্ন পৌর প্রতিনিধিদের দেখা গেলো রাস্তায় । মশা মারার কামান দাগানো থেকে শুরু করে, মশার হদিস পেতে আকাশে ওড়ানো হলো দ্রোন। গত ১৯ তারিখে শ্রীরামপুরে ডেঙ্গীতে মৃত্যু হয় পাঁচ বছরের একটি শিশুর। প্রায় মাস দুয়েক ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্র এখনো ভর্তি বহু রোগী। অবশেষে জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর গতকাল বিকেলে শ্রীরামপুরে এসে বিভিন্ন প্রশাসনের কর্তাদের সাথে ডেঙ্গু সংক্রান্ত বৈঠক করেন। তিনি দাবি করেন সব মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় দু হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। গতকালই তিনি ঘোষনা করেছিলেন ডেঙ্গু দমনে দ্রোন ব্যাবহার করা হবে, সেই মতো আজ দেখা গেলো মশা মরাতে ওড়ানো হলো দ্রোন।
মাইকের মাধ্যমে প্রচার করে বাসিন্দাদের কি করতে হবে ও কি করা উচিত নয় তা বলা হচ্ছে। এদিকে ডেঙ্গুকে হাতিয়ার করে পথে নামলো বিজেপি। একদিকে যখন ডেঙ্গু দমনে পৌর প্রতিনিধিরা পথে নামলো, ঠিক সেই সময় শ্রীরামপুর পৌরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখালো বিজেপি। রীতিমত মশারি খাটিয়ে তার মধ্যে বিক্ষোভ সামিল হলো বিজেপি নেতৃত্বে। সব মিলিয়ে আজ সকাল থেকে শ্রীরামপুর সরগরম।
অন্যদিকে ভদ্রেশর পৌরসভা এলাকার তেলীনিপাড়ায় গতকাল ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু হয়েছে এক কলেজ পড়ুয়ার কিন্তু সেখানে সেভাবে পৌরসভার পক্ষ থেকে নজরদারি দূরের কথা পৌরসভার পক্ষ থেকে ঐ এলাকায় মশার লাভা মারবার তেল, ও গ্যাস ছড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই ঘটনার পর তাঁরা নিজেরাই টাকা জোগাড় করে এলাকার নালা থেকে জমা জলে ও ডোবার মধ্যে ওষুধ দিয়েছেন।