বিবেকানন্দের জীবনে বুদ্ধের প্রভাব অনেকটাই

Untitled-1.jpgসংবাদদাতাঃ কলকাতায় ১৫ই মার্চ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজ আয়োজিত “দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সভ্যতা এবং সংস্কৃতিতে স্বামী বিবেকানন্দ এবং গৌতম বুদ্ধের প্রভাব” শীর্ষক দু’দিনের আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রের সূচনা হয়। উদ্বোধনী অধিবেশনে ভারতে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত শ্রী গ্যানবোল্ড জি বলেন, এই ধরণের আলোচনায় পারস্পরিক মতামত আদানপ্রদান এবং সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক যোগসূত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকলেই উপকৃত হবেন। ভারত এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ২,৫০০ বছরের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি জানান, দুটি দেশের মধ্যে এক সময় ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় যোগাযোগ ছিল। আর এখন অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সেই সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গোলিয়ার জনগণের জীবনযাত্রায় গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা খুব বড় প্রভাব বিস্তার করেছে।

ভারতের মহাবোধি সোসাইটির ডঃ এম মেধাঙ্কর থেরো এবং রহড়ার আরকেএমভিসি কলেজের অধ্যক্ষ স্বামী কমলস্থানানন্দ বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিক নেতা। তাঁর জীবনে ভগবান বুদ্ধের গভীর প্রভাব ছিল। উভয়েই অহিংসা, কর্মবাদ, নৈতিক মূল্যবোধ এবং মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী ছিলেন। ভারত ছাড়াও, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, কাম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, ফিলিপিন্স এবং মায়ানমারের শিক্ষাবিদরা এই আলোচনাচক্রে উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওড়িশা রাজ্য মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ শ্রীকান্ত মহাপাত্র, হায়দরাবাদের ইংলিশ অ্যান্ড ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজেস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কে সি বড়াল, ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ডঃ সুজিত কে ঘোষ, কার্যনির্বাহী অধিকর্তা ডঃ জি মহেশ্বরী সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। (ছবি-সৌজন্যে পি.আই.বি.)

gorumara

banner-advt-amitabha

jee-tunes-advt

bhuyan-package

advt-vromonolife

%d bloggers like this: