প্রকৃত জ্ঞান জরুরী

অনেকদিন বাদে আবার কলম ধরতে হ’ল। যদিও যে কোনও সংবাদের সম্পাদকীয় থাকা অত্যাবশ্যকীয়। কাজেই লিখতেই হ’ল। সময়টা শীতকাল, যদিও এই মূহুর্তে আবহাওয়া তা বলছে না। তবুও ক্যালেণ্ডারের নিয়মানুসারে এখন আমাদের প্রকৃতিতে বিরাজমান শীত। আর শীত মানেই বেড়ানোর সময়, দল বেঁধে পিকনিকের সময়। আমরা মনে বাঙালিদের একটা বদনাম তো রয়েছেই, সেটা হলো আমরা নাকি অতি ভীষণ মাত্রায় বেড়ানো পাগল। আমাদের বেড়ানোর পিপাসাকে পরিপূর্ণ রূপ দান করাতে হাজির আছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারী পর্যটন দপ্তরগুলি। এর সাথে সাথে রয়েছে পর্যটন পরিষেবায় বিগলিত প্রাণ প্রচুর বেসরকারি পর্যটন সংস্থা। রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আপনার আমার বাড়ির পাশাপাশি রোজই গজিয়ে উঠছে রঙিন ছাতার মত নানান নামের বেসরকারি পর্যটন সংস্থা। হটাত্‍ হটাত্‍ গজিয়ে ওঠা এই সব ট্রাভেল এজেন্সির না রয়েছে পেশা গত ভ্রমণ সংক্রান্ত শিক্ষা বা পেশাদারী মনভাব। অভাব রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলির সম্বন্ধে বিস্তারিত জ্ঞানের। কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকৃত যে সকল বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থা সঠিক পথে পর্যটকদের পর্যটনের পিপাসা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে তাদের প্রকৃত পরিষেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে, আজ তাদের সামনেও সমূহ বিপদ, এই সকল ছাতার মত গজিয়ে ওঠা অশিক্ষিত বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থা গুলির জন্য। সবথেকে আশ্চর্য হতে হয় হটাত্‍ করে গজিয়ে ওঠা এই সকল সংস্থারা পর্যটকদের যখন জোর করে ভুল তথ্য পরিবেশন করেন পর্যটন স্থল সম্বন্ধে। এর ফলে ক্ষতি সমগ্র পর্যটন ব্যবসার। যদি এই সকল পর্যটন ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্ব-শিক্ষিত করে তোলেন তবে তা সমগ্র পর্যটন ব্যবসার ক্ষেত্রে কল্যাণকর হবে।

%d bloggers like this: