শিল্পীর জন্য শিল্প না শিল্পের জন্য শিল্পী হয়ে ওঠা। শিল্পীর জীবনে তার সাফল্যর সামগ্রিক চিত্রটা সহজেই আমাদের সামনে ফুটে ওঠে। কিন্তু তাদের জীবনের নানা ওঠাপরা, কতটা কঠোর বন্ধুর পথ সে অতিক্রম করে এসেছে বা আজও তাকে অতিক্রম করতে হচ্ছে তার পেশায়, কিংবা তাদের মনের আনচে কানাচে কি গোপন কথা লুকিয়ে রয়েছে তার সুলুক সন্ধান কতটা পাওয়া যায়। শিল্পীদের জীবনের নানা অজানা কথা, তাদের হাসি-কান্না, হর্ষ-বিষাদ যদি তারা কোনও এক সময়ে প্রকাশ করে তবে তা কেমন হয়। সহজে লভ্য নয় তাদের জীবন। প্রতিটি শিল্পী যেমন দর্শকদের সামনে তার শিল্পকলা মেলে ধরেন, তেমনি তারাও চান তাদের মনের নানা লুকিয়ে রাখা কথা সাধারণের সাথে ভাগ করে নিতে। আর এই ভাগ করে নিতে তাদের সাহায্য করছেন যে ব্যাক্তিটি তিনি নিজেও একজন শিল্পী। আর এই উদ্দেশ্যে তিনি একজন প্রতিথযশা শিল্পীর অনুপ্রেরণায় একবছর আগে শুরু করেছিলেন শিল্পীদের নানা অজানা কথা ভাগ করে নেওয়ারর এক সুন্দর প্লাটফর্ম, যার নাম ‘মাই স্টোরি’। কলকাতা থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান আগামীতে রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে পা বাড়াচ্ছে অন্য রাজ্যে। এইরকম এই আসরে কলকাতার বেশ কিছু গুণীজন সাক্ষী হয়ে রইল ২৩ নভেম্বর ২০১৭ সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জের ডুডেল রুম’এ। ভাব গম্ভীর অসাধারণ পরিবেশে চিরাচরিত প্রথা ব্যতিরেকে শুরু শিল্পীদের নিজের মনের কথা বলার অনুষ্ঠান। প্রখ্যাত নৃত্য শিল্পী অলকানন্দা রায়, শিল্পী জয়া শীল ঘোষ, কলমণ্ডলম গৌতম প্রমুখদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে দান করেছিল অন্যমাত্রা। এদিন তিনজন শিল্পী তাদের শিল্পের প্রকাশের মধ্য দিয়ে নিজেদের মনের না বলা কথা তুলে ধরেছিলেন সকলের সামনে। এরা হলেন গুলশনআরা, বার্থা বিশ্বাস ও রূপসা নাগ। অনুষ্ঠানটির রূপকার কথাকলি নৃত্য শিল্পী দিব্যেন্দু তরফদার শুরুতে লৌকিকতাবর্জিত এই অনুষ্ঠানের সূচনা করে কেন এই মাই স্টোরি’র পথ চলা শুরু তার খোঁজ দেন। নৃত্য শিল্পী অলকানন্দা রায়কে লক্ষ্য করা গেল তার জীবনের এক বিশেষ ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে স্মৃতিবেদনাতুর হতে। একান্ত আলাপচারিতায় ভ্রমণ ও লাইফ এর প্রতিনিধিকে দিব্যেন্দু তরফদার জানালেন তারা এই অনুষ্ঠান নিয়ে কলকাতা থেকে বেড়িয়ে দিল্লি, মুম্বাই যাচ্ছেন, ঠিক তেমনি তারা সমান উত্সাহী সারা বাংলা জুড়ে মাই স্টোরির কর্মকান্ডকে ছড়িয়ে দিতে।