রাজ্য পর্যটন স্টলে অন্য রাজ্যের প্রচার

অসাধারণ এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল ভ্রমণ পিপাসুরা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। এখানে গত ৭ জুলাই থেকে ৯ জুলাই অবধি আয়োজিত হয়েছিল ২৮ তম টিটিএফ (ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার, ২০১৭) কলকাতা সংস্করণ। রাজ্য পর্যটনের স্টল, চারিদিকে এই বঙ্গের নানা জানা অজানা ভ্রমণ স্থানের বিবরণ সহ হাজির রাজ্য পর্যটন অনুমোদিতও বেশ কয়েকটি ভ্রমণ সংস্থা। এছাড়াও এই স্টলে বসতে অনুমতি পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থাগুলির সংগঠনের মান্যতা প্রাপ্ত বেশ কয়েকটি বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থা। খুবই ভালই ব্যবস্থা, সরকারী এবং বেসরকারি মেলবন্ধনে রাজ্য পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। তাল কাটলো যেটায় সেটা হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্যটন স্টল থেকে ভুটান, সিকিম, সহ ভারতের অন্যান্য প্রান্তে বেড়াতে যাবার আবেদন জানিয়ে মেলায় উপস্থিত হওয়া ভ্রমণ পিপাসুদের ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল ওই সকল বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থা গুলির রঙিন প্রচার পুস্তিকা। রাজ্য পর্যটনের স্টলে রাজ্য সরকারের বদান্যতায় জায়গা পাওয়া অধিকাংশ বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থাই ব্যস্ত ছিল নিজের রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যের প্রচারে। এই সকল ভ্রমণ সংস্থাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন তাদের ব্যবসা সিকিম ভুটান সহ সারা ভারতে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের জন্য কেন তারা আলাদা করে খরচ করে এই রাজ্যের পর্যটন স্থলগুলির প্রচার পত্রিকা ছাপাবেন। তাই তারা একসঙ্গে সারা ভারতের ভ্রমণের প্রচার প্রত্রিকা এখানে বিলি করছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন জানলেন যে রাজ্য পর্যটনের সঙ্গে যখন তারা রাজ্যের বাইরে ভ্রমণ মেলায় অংশ নিতে যান তখন তারা শুধু মাত্র পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন বিষয়ক প্রচার পত্রিকা ছাপিয়ে নিয়ে যান। এর কারণ তারা বলেন যে প্যাকেজ ও হোটেল তারা কলকাতার এই মেলায় বসে যে দামে বিক্রি করতে পারেন, তার থেকে অনেক বেশি দামে তারা সেই একই প্যাকেজ ও হোটেল অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন রাজ্যের বাইরে অনুষ্ঠিত মেলাগুলিতে। কিন্তু একটা জিনিস তারা ভুলে গেছিলেন যে তাদের এই মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্যটন দপ্তর। কয়েকজন ট্রাভেল এজেন্ট আবার পশ্চিম সিকিমের প্রত্যন্ত এক গ্রামকে এই বঙ্গের অন্যতম পর্যটনস্থল বলে জোরালো সওয়াল করছিলেন।

আজ যখন ভারতের অন্য রাজ্যগুলির সরকারি পর্যটনের অধীন বেসরকারি পর্যটন সংস্থাগুলি তাদের রাজ্যের পর্যটনের প্রচারে নিমগ্ন তখন এই ধরনের এক আন্তর্জাতিক মেলায় আমাদের রাজ্যের রাজ্য পর্যটনের সাহায্যে স্থান পাওয়া বেসরকারি পর্যটন সংস্থাগুলি নিজেদের রাজ্য থেকে সুবিধা নিয়ে অন্য রাজ্যগুলিকে প্রচার করে গেলেন এই মেলায় দায়িত্ব প্রাপ্তও রাজ্য পর্যটন দপ্তরের কর্মচারীদের সামনে বসেই। বিগত কয়েক বছর ধরে এই একi রেওয়াজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

%d bloggers like this: